<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মুসলিম শিশুদের আধুনিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়েছেন ভারতের প্রখ্যাত আলেমে দ্বিন সাইয়েদ আরশাদ মাদানি। সম্প্রতি জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এই আহবান জানান। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমিরুল হিন্দ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> খ্যাত সাইয়েদ আরশাদ মাদানি বলেন, জমিয়ত কখনো আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিল না। জাতির জন্য যেমন আলেম প্রয়োজন, তেমনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীও প্রয়োজন। জমিয়ত আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করে না, তবে এর সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষাকে আবশ্যক মনে করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, আমাদের পূর্বসূরি আলেমদের কর্মপন্থাই আমাদের পথচলার পাথেয়। তাদের অনুসৃত রীতিনীতি থেকে সরে যাওয়া আমাদের জন্য ভালো মনে করি না। আমাদের পূর্বসূরি আলেমরাও আধুনিক শিক্ষার বিরোধী ছিলেন না। তাঁরা সবাই আলেম এবং ধর্মীয় জ্ঞানে দক্ষ হলেও তাঁরা আধুনিক শিক্ষার বিরোধিতা করেননি। ইংরেজদের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ-জিহাদ করেছেন বটে, কিন্তু ইংরেজি শিক্ষার বিরোধী তাঁরা ছিলেন না। এটাই বাস্তবতা। ভারত স্বাধীন হওয়ার পর জমিয়তের নেতৃত্বে দেশব্যাপী রীতিমতো মাদরাসা ও স্কুল প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলন শুরু হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাইয়েদ আরশাদ মাদানি অভিযোগ করে বলেন, দেশভাগের সময় ভারতের শিক্ষা ও অর্থনীতি থেকে পরিকল্পিতভাবে মুসলমানদের দূরে সরিয়ে রাখা হয়েছে। সব রাজনৈতিক দল একমত যে মুসলমানদের স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেওয়া যাবে না। তাই এখনই সময়, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি দেশের সমৃদ্ধিতে অবদান রাখার। ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করে প্রচুর স্কুল-কলেজ প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। এটাই চলমান সমাজের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মুসলিম তরুণদের সক্ষম করে তুলবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অনুষ্ঠানে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সাইয়েদ মাসুম সাকিব, দিল্লি জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ মুসলিম কাসেমি, অবিভক্ত পাঞ্জাব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হারুন কাসেমিসহ কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : বাসিরাত অনলাইন</span></span></span></span></p>