<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা মার্সিডিস বেঞ্জ গাড়িটি ৫০ দিন আগেও চট্টগ্রাম কাস্টমস নিলাম ওঠায়। তখন মার্সিডিস বেঞ্জটির দর নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকা। কিন্তু নিলামে এটির সর্বোচ্চ দর উঠেছিল চার কোটি এক লাখ টাকা। সংরক্ষিত মূল্য থেকে ২৫ শতাংশ দর পাওয়া গিয়েছিল। কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এটি আর হস্তান্তর করেনি। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত মঙ্গলবার মার্সিডিসটি আবারও নিলামে ওঠানো হয়। দ্বিতীয় নিলামে গাড়িটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকা। গতবারের চেয়ে এবার দুই কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি দর উঠেছে, যা সংরক্ষিত মূল্য থেকে ৪০ শতাংশ দর পাওয়া গেছে। ওই গাড়িটি ছাড়াও একই দিন ২৬ লট পণ্য নিলামে ওঠানো হয়। এ লটগুলোর বিপরীতে মোট ৭৯টি দরপত্র পাওয়া গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এ কারণে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কনটেইনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কনটেইনার জট লাগে। দিনের পর দিন কনটেইনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জানায়, বিলাসবহুল ১৬ কোটি ১০ লাখ ৮৯ হাজার ১৩৬ টাকার ব্র্যান্ড নিউ মার্সিডিস বেঞ্জ গাড়িটি ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকায় কিনতে আগ্রহ দেখিয়েছেন আবদুল ওয়াহেদ নামের এক ব্যক্তি। আবদুল ওয়াহেদ ছাড়াও ওই গাড়িটি কিনতে দর দিয়েছিলে ঢাকার গুলশানের আশিয়ান ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও একেএম নিটওয়্যার লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। তারা ছয় কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার ও ছয় কোটি দুই লাখ টাকা দর দিয়েছিল। তবে ছয় কোটি ৫২ লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়েছেন আবদুল ওয়াহেদ। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এবারের নিলামে গাড়িটির সংরক্ষিত মূল্য থেকে ৪০ শতাংশ দর পাওয়া গেছে। যদিও এর আগে একই গাড়ি নিলামে তোলা হলে তখন সর্বোচ্চ দর পাওয়া গিয়েছিল ২৫ শতাংশ। সেবারের নিলামে চার কোটি এক লাখ টাকা সর্বোচ্চ দর দিয়েছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিপব্রেকিং প্রতিষ্ঠান যমুনা শিপ ব্রেকার্স। ওই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও গাড়িটি কিনতে আগ্রহ দেখিয়ে দর দিয়েছিল একেএম নিটওয়্যার লিমিটেড দুই কোটি টাকা, মো. নাহিদ হাসান নামের এক ব্যক্তি এক কোটি ৫০ হাজার এবং মেসার্স মাসুম এন্টারপ্রাইজ ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।</span></span></span></span></p>