<p>ইসরায়েল বোয়িংয়ের সঙ্গে ৫.২ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তার অর্থায়নে ২৫টি ‘নতুন প্রজন্মের’ এফ-১৫ যুদ্ধবিমান কেনা হবে। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আরো ২৫টি বিমান কেনার একটি বিকল্প রাখা হয়েছে এবং সরবরাহ শুরু হবে ২০৩১ সাল থেকে, প্রতিবছর চার থেকে ছয়টি বিমান সরবরাহ করা হবে।</p> <p>এফ-১৫আইএ যুদ্ধবিমানগুলোতে ‘আধুনিক ইসরায়েলি প্রযুক্তির সংযোজন’ ও ‘সর্বাধুনিক অস্ত্রব্যবস্থা’ অন্তর্ভুক্ত থাকবে বলেও মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। এ ছাড়া বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘বাড়তি দূরত্ব, বেশি অস্ত্র বহন ও বিভিন্ন অভিযানে আধুনিকায়িত এই বিমানগুলোর উন্নত কার্যক্ষমতা সুবিধা দেবে।’</p> <p>প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এয়াল জমির জানান, হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরায়েল প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র ক্রয় চুক্তি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ‘উন্নত অস্ত্র ও গোলাবারুদের প্রয়োজনীয়তা অবিলম্বে পূরণের দিকে নজর রেখে আমরা একসঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি কৌশলগত সক্ষমতাতেও বিনিয়োগ করছি। এই এফ-১৫ স্কোয়াড্রন এবং এ বছরের শুরুতে কেনা তৃতীয় এফ-৩৫ স্কোয়াড্রন আমাদের আকাশ শক্তি ও কৌশলগত সক্ষমতাকে ঐতিহাসিকভাবে বৃদ্ধি করবে, যা চলমান যুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে।’</p> <p>এর আগে সেপ্টেম্বরের শেষে ইসরায়েল জানায়, তারা ৮.৭ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন মার্কিন সামরিক সহায়তা প্যাকেজ পেয়েছে।</p> <p>গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েল অসংখ্যবার গাজার হামাস ও লেবাননের হিজবুল্লাহর ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। হামাসের নজিরবিহীন হামলায় দক্ষিণ ইসরায়েল আক্রান্ত হওয়ার পর ইসরায়েলের এসব অভিযান শুরু হয়। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতারা এবং একজন ইরানি জেনারেল নিহত হলে ইরান থেকে প্রায় ২০০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল। এরপর ইসরায়েল ২৬ অক্টোবর পাল্টা হামলা চালায়।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>