<p>দিনাজপুর পুনর্ভবা নদীর তীরে সাধুর ঘাটে পশ্চিমমুখী হয়ে অস্ত যাওয়া সূর্যকে এবং পূর্বমুখী হয়ে উদয় হওয়া সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে ম্লান শেষে সরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো দুই দিনব্যাপী সূর্য পূজা।</p> <p>বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত ৩টা থেকে নদীর তীরে উপস্থিত হতে শুরু করে পূণ্যার্থীরা। এরপর সূর্য উদয় হওয়ার পূর্ব মুহূর্ত থেকে পূর্বমুখী হয়ে পূজা শুরু করেন তারা। সূর্য উদয় হওয়ার পর সূর্যকে প্রণাম করে নদীতে স্নান এবং সরবত পানের মধ্যে দিয়ে শেষ হয় সূর্য পূজা।</p> <figure class="image" style="float:left"><img alt="ছট পূজা" height="183" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/Nahid/Untitled-10a.jpg" width="306" /> <figcaption>সূর্য পূজা করতে পুনর্ভবা নদীতে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ। ছবি : কালের কণ্ঠ</figcaption> </figure> <p>এরআগে সূর্য পূজার প্রথম দিনে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সূর্য অস্ত যাওয়ার আগে পুণ্যার্থীরা উপবাস থেকে ফুল, প্রসাদ, বাদ্য-বাজনাসহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী নিয়ে দিনাজপুরের পূর্ণভবা নদীর তীরে কাঞ্চন ব্রিজের কাছে উপস্থিত হয়। সেখানে সূর্য অস্ত যাওয়ার পূর্ব মুহূর্তে পশ্চিমমুখী হয়ে পূণ্যার্থীরা নদীতে গোসল এবং হাঁটু পানিতে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে মুখ করে কুলায় সাজানো প্রসাদ নিয়ে পূজা শুরু করে। সূর্য অস্ত যাওয়ার পর সবাই বাড়িতে ফিরে যান।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জিয়ার দলে কোনো মোনাফেক-বেঈমান স্থান পাবে না : সেলিমুজ্জামান" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/08/1731057300-a4dba9b67cf54c1c9da7b162dfbc1b74.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জিয়ার দলে কোনো মোনাফেক-বেঈমান স্থান পাবে না : সেলিমুজ্জামান</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/08/1444243" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সূর্য পূজাকে স্থানীয়ভাবে বলা হয় ছট পূজা। প্রতি বছর কালী পূজার পর শুক্লাপক্ষের ষষ্টি তিথিতে নদীর তীরে সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতে এই পূজা উদযাপন করা হয়। </p> <p>দিনাজপুর পুনর্ভবা নদীতে মনোবাসনা পূর্ণ, আপদ-বিপদ দুরীকরনসহ বিভিন্ন মানত পূরনে হিন্দু ধর্মালম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের হাজার হাজার পূণ্যার্থীর সমাগম ঘটে এই সূর্য পূজায়। নদীর তীর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে পূণ্যার্থীদের পদচারণায় এবং এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। পূজা শেষে একে অন্যকে আবির মাখিয়ে দেন পূণ্যার্থীরা।</p> <p>সূর্য পূজা করতে আসা শহরের ক্ষেত্রিপাড়ার রেশমি দাস, মিশন রোডের দীপা রায়, বড়বন্দর ফকিরপাড়ার গোবিন্দ রায় বলেন, আমরা সূর্য দেবতাকে সন্তুষ্ট করতেই এই পূজা করে থাকি। এই পূজাকে ছট পূজাও বলা হয়। ছট পূজার মাধ্যমে সূর্য দেবতা সন্তুষ্ট হয় আর আমাদের মনবাসনা, মানত পূরণ করে দেয়। এই আশায় আমরা প্রতি বছর ছট পূজা করতে আশি এই পুনর্ভবা নদীর তীরে। এ ছাড়াও জগতের সবার শান্তি কামনায় এই পূজা করা হয়ে থাকে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="‘শইল্যে আর কোলায় না, মইর‍্যা গেলে ভালা অইতো’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/08/1731045598-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>‘শইল্যে আর কোলায় না, মইর‍্যা গেলে ভালা অইতো’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/08/1444208" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে সূর্য পূজা হিন্দু ধর্মালম্বীর হরিজন, রবিদাস ও রজক সম্প্রদায়ের হলেও পুনর্ভবা নদীতে ওই পূজা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এক মিলন মেলায় পরিণত হয়। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন খেলনা ও খাওয়ার দোকান নিয়ে বসে সেখানে। পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় কড়া নিরাপত্তা। দিনাজপুর পুনর্ভবা নদীর সাধুরঘাটে সারারাত বসানো হয় পুলিশ পাহারা।</p>