<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরো রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এতে বলা হয়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪১ কোটি ৮২ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরো রয়েছে মালয়েশিয়া, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও বাহরাইন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, শেখ হাসিনা সরকারের করা বিপুল ঋণ পরিশোধের চাপ যখন বাড়ছে তখন রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পাশে থাকছেন প্রবাসীরা। ফলে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ হু হু করে বাড়ছে। সদ্যঃসমাপ্ত অক্টোবর মাসে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। শুধু অক্টোবর নয়, চলতি বছরের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে রেমিট্যান্স বা প্রবাস আয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৬ কোটি ৫৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে আরব আমিরাত থেকে। আর সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, ওমান, কাতার ও বাহরাইন থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবরে যথাক্রমে রেমিট্যান্স এসেছে ১১৭ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার, ৮১ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার, ৭৬ কোটি ৩৪ লাখ ৩০ হাজার, ৫৬ কোটি ২১ লাখ ১০ হাজার, ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ৪০ হাজার, ৪৫ কোটি দুই লাখ ৩০ হাজার, ৩৫ কোটি ৩০ লাখ ২০ হাজার এবং ২৬ কোটি ৯৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে গত অক্টোবরে আসা রেমিট্যান্সের ৭২ কোটি ৬১ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার এসেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫৪ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৭১ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগে গত জুন মাসে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স আসার পর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে প্রবাস আয় এসেছিল প্রায় ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম আয় ছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় গত আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। আর গত সেপ্টেম্বরে এসেছে চলতি অর্থবছরের সর্বোচ্চ ২৪০ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একজন বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মী তাঁর পরিবার বা দেশে থাকা অন্যান্য ব্যক্তির কাছে প্রবাস থেকে যে অর্থ স্থানান্তর করেন তা-ই প্রবাস আয় বলে বিবেচিত হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রবাস আয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশের আর্থ-সামাজিক বিকাশে অন্যতম অনুঘটক হিসেবে বিবেচিত। একদিকে যেমন প্রবাসী শ্রমিকদের আয় সামষ্টিক অর্থনীতির ভিতকে শক্তিশালী করছে, অন্যদিকে তাঁদের পাঠানো অর্থ দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা, শিশুর পুষ্টি ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) অধ্যাপক ড. শাহ মো. আহসান হাবীব কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পশ্চিমের দেশগুলো থেকে রেমেট্যান্স বৃদ্ধি আমাদের দেশের জন্য ভালো দিক। তবে আমার ধারণা, সম্প্রতি প্রবাসীদের সঞ্চয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় ইউএস ও ইউকে থেকে ইনভেস্টমেন্ট আসছে। কিন্তু আরবের দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ নয়, বরং শ্রমিকদের রেমিট্যান্স আসে। সব মিলিয়ে দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটা ফরেক্স মার্কেটকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>