<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কয়েক দিন আগেও পণ্যভর্তি কনটেইনার নিয়ে মাদার ভেসেল (বড় জাহাজ) চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ভাসতে হতো। এখন সেখানে অপেক্ষমাণ জাহাজ নেই। আগে প্রতিনিয়ত বহির্নোঙরে ৩০ থেকে ৩৫টি কনটেইনারভর্তি জাহাজের ভিড় লেগেই থাকত। এ ছাড়া তিন থেকে পাঁচ দিনের আগে বার্থিংও পেত না কোনো মাদার ভেসেল। কিন্তু সেই চিত্র এখন আর নেই। বহু দিন পর জাহাজের জটমুক্ত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, নিজেদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পণ্য খালাসে গতি আসায় স্বস্তি এসেছে বন্দরের অপারেশনে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে ৬৪টি জাহাজে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তার মধ্যে ৫০টি জেনারেল কার্গো জাহাজ, ওয়েল ট্যাংকার ৯টি ও পাঁচটি কনটেইনার জাহাজ। জেটিতে বার্থিং আছে ১০টি কনটেইনার জাহাজ। জাহাজ ও পরিবাহিত পণ্যের প্রকার অনুযায়ী জাহাজ জেটিতে বার্থিং গ্রহণ করে। কাজ শেষে জাহাজ দ্রুত বন্দর ত্যাগ করে। ফলে অপেক্ষমাণ জাহাজ এখন শূন্যে নেমে এসেছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয় ২২.৮৭ লাখ টিইইউএস এবং কার্গো হ্যান্ডলিং হয় ৯.০৫ কোটি টন। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ২৪.৪২ লাখ টিইইউএস এবং কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে ৯.২০ কোটি টন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের ৯ মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের ৯ মাসে ১.৫৫ লাখ টিইইউএস কনটেইনার এবং ১৫ লাখ টন কার্গো বেশি হ্যান্ডলিং হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৯ মাসে কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ৬.৭৮ শতাংশ এবং কার্গো হ্যান্ডলিংয়ের প্রবৃদ্ধি প্রায় ১.৬৬ শতাংশ। এ থেকে বোঝা যায়, দেশের আমদানি কমেনি; বরং চট্টগ্রাম বন্দরের হ্যান্ডলিং সক্ষমতা বেড়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন নতুন ইয়ার্ড সম্প্রসারণ, আধুনিক কনটেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংযোজন, ডেলিভারি কার্যক্রম দ্রুত হওয়া, ইয়ার্ডে কনটেইনারের কোনো রকম জট না থাকায় এবং কম্পিউটারাইজড টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেম (টিওএস) বাস্তবায়নের ফলে জাহাজ দ্রুত কনটেইনার খালাস করে অল্প সময়ে বিক্রি করতে পারছেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে বহির্নোঙরে জাহাজের কোনো জট নেই।</span></span></span></span></p>