<p>নিত্যনতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও গবেষণায় বিশ্বের দেশগুলো যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন এই প্রতিযোগিতায় অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশ। এমনকি বৈশ্বিক তালিকায় কয়েক বছর ধরে পেছনের তালিকায় পড়ে আছে বাংলাদেশ।</p> <p>সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশন (ডব্লিউআইপিও) প্রকাশিত বৈশ্বিক উদ্ভাবনীসূচক (জিআইআই) ২০২৪-এ ১৩৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৬তম হয়েছে। ১৭তম এই সংস্করণে প্রাপ্ত সূচক ১৯.১। ২০২৩ সালে ১৩২টি দেশের মধ্যে তিন ধাপ পিছিয়ে ১০৫তম অবস্থানে নামে বাংলাদেশ। যদিও ২০২২ সালে ১৩২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০২তম। অর্থাৎ এই সূচকে বাংলাদেশ ক্রমাগত পেছাচ্ছে।</p> <p>ডব্লিউআইপিও প্রতিবছর বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচকের প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে একটি দেশের অবস্থান নির্ণয়ে প্রতিষ্ঠান, মানবসম্পদ ও গবেষণা, অবকাঠামো, পরিশীলিত বাজার, পরিশীলিত ব্যবসা, জ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সৃজনশীলতাসহ মোট সাতটি সূচকের মূল্যায়ন করা হয়। এর মধ্যে আবার উপসূচক রয়েছে ৭৮টি।</p> <p>সূচকগুলোর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৮তম, মানবসম্পদ ও গবেষণায় ১২৮তম, অবকাঠামোতে ৮৬তম, পরিশীলিত বাজারে অবস্থান ৯২তম, পরিশীলিত ব্যবসায় ১২৬তম, জ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ৯২তম এবং সৃজনশীলতায় ৮৮তম অবস্থানে।</p> <p>২০২০ ও ২০২১ সালে জিআইআই সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১১৬তম। ২০২২ সাল থেকে ১০২তম অবস্থানে উঠে আসে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ র‌্যাংকিংয়ে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের চেয়ে পেছনে রয়েছে। তবে নেপালের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে। এবারের তালিকায় ৮৯তম অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ৯১তম এবং ভারত রয়েছে ৩৯তম অবস্থানে। বাংলাদেশের পেছনে থাকা বেশির ভাগ দেশই আফ্রিকার।</p> <p>এবারের তালিকায় শীর্ষ স্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড, দ্বিতীয় অবস্থানে সুইডেন, তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র, চতুর্থ সিঙ্গাপুর এবং পঞ্চম স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। শীর্ষ দশে থাকা বাকি দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া, ফিনল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি ও ডেনমার্ক। এশিয়ার সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক দেশ চীন এই তালিকায় ১১তম স্থানে রয়েছে। জাপান রয়েছে ১৩তম অবস্থানে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবস্থান ৩২তম, মালয়েশিয়ার অবস্থান ৩৩তম এবং ৩৭তম অবস্থানে রয়েছে তুরস্ক।</p> <p>দেশগুলোর নীতিনির্ধারক ও ব্যাবসায়িক নেতাদের উদ্ভাবনী দক্ষতাকে বাড়াতে এ তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে ডব্লিউআইপিও। সংস্থার মহাপরিচালক ডারেন তাংগ বলেন, ‘২০২৩ সালে বিশ্বে গবেষণা ও উন্নয়নে ব্যয় কমেছে, বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র প্রকাশও কমেছে এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বিনিয়োগ করোনা-পূর্ববর্তী অবস্থায় পৌঁছেছে। তবে ২০২৩ সালে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট খাতে, কম্পিউটিং পাওয়ার এবং বৈদ্যুতিক ব্যাটারির ক্ষেত্রে। প্রযুক্তিগত অভিযোজন বিশেষত ৫জি, রোবটিকস ও বৈদ্যুতিক যাননির্ভর।’</p> <p> </p>