<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিলেট নগরের সাগরদীঘিরপার এলাকার ১১ নম্বর গলির মুখে গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কিশোর গ্যাংয়ের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে খুন হন শাওন। হত্যার কারণটা খুব তুচ্ছ। সমবয়সীকে নাম ধরে ডেকে ফেলা, যার মাসুল দিতে হয় জীবন দিয়ে। ঘটনার পরদিন শাওনের বড় ভাই শিমুল সিলেটের কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করে আরো চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেন। এরপর ১৫ দিনেও কাউকে ধরতে পারেনি পুলিশ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এমন ঘটনা নতুন নয়। এর আগে গত ৩ মে নগরের চালিবন্দর ভৈরব মন্দিরসংলগ্ন এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে খুন হয় মোহাম্মদ আলী (১৭) নামের এক কিশোর। সিলেটের কিশোর গ্যাং অনেকটা নিয়ন্ত্রণহীন, বেপরোয়া। খুনের সংবাদ গণমাধ্যমের গুরুত্ব পায়। কিন্তু পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, সংঘর্ষ, আহতের ঘটনা নিয়মিত হলেও সেগুলো অনেকটা আড়ালে থেকে যায়। ফলে এর সংখ্যা নির্ণয় কঠিন। ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর এসব গ্যাংয়ের সদস্যরা গাঢাকা দিলেও এখন আস্তে আস্তে ফিরে বেপরোয়া হয়ে উঠছে তারা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভুক্তভোগীরা জানায়, নগরের মির্জাজাঙ্গাল, ওসমানী মেডিক্যাল রোড, বাগবাড়ি, রিকাবীবাজার, শাহী ঈদগাহ, রায় হোসেন, দরগাহ গেট, শিবগঞ্জ লাকড়িপাড়া মায়া টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, মনোয়ার সিএনজি পাম্পের সামনে, লামাবাজার, কুয়ারপার, শামীমাবাদ, উপশহর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের আধিক্য বেশি। চাঁদাবাজি, ছিনতাই থেকে শুরু করে সব ধরনের অপরাধে তারা জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলে নাজেহাল হতে হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) একটি সূত্র জানিয়েছে, নগরের ছয় থানা এলাকায়ই কিশোর গ্যাং রয়েছে। তাদের অপতৎপরতা থামাতে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তালিকার বেশির ভাগেরই বয়স ১৮ বছরের নিচে। কেউ স্কুলের গণ্ডি পেরিয়েছে, কেউ টমটম চালায়। বেশির ভাগই বস্তির বাসিন্দা।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক ও পারিবারিক দায়িত্বহীনতায় এসব কিশোর গ্যাং তৈরি হচ্ছে। বিস্তারের আগে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর যেমন দ্রুত পদক্ষেপ দরকার, তেমনি সামাজিকভাবেও সচেতনতা জরুরি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>