<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম নগরীতে খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মারামারিসহ নানা অপরাধে নাম আসে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দেওয়া বড় ভাই হিসেবে পরিচিত ৭০ জন পালিয়ে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে সদস্যরাও বেশ কিছু দিন নিষ্ক্রিয় ছিল। কিন্তু কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা আবারও ছিনতাই, চুরিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, কোতোয়ালি, আকবর শাহ এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য এখনো রয়েছে। পুলিশের তথ্য মতে, সরকার পতনের আগ পর্যন্ত গত পাঁচ বছরে চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে ৪০টি খুনের ঘটনা ঘটেছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ২০১৯ সালে কিশোর গ্যাংয়ের তালিকা করেছিল। সেই সময় নগরজুড়ে প্রায় ৫০টি গ্যাংয়ের অস্তিত্ব পেয়েছিল পুলিশ। গ্রুপগুলোতে ৫৫০ জনের মতো সদস্য ছিল। এদের প্রশ্রয়দাতা হিসেবে এসেছিল ৪৮ জনের নাম। তবে এরপর আর তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। পুলিশ বলছে, সরকার পতনের আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ছয়জন ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ ৭০ জন বড় ভাই কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। আর চলতি বছরের মার্চ মাসে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) জানিয়েছিল, চট্টগ্রাম নগরীতে ২৫০টি কিশোর গ্যাং সক্রিয়, আর এগুলোতে প্রায় দেড় হাজার সদস্য আছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামে কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাই হিসেবে সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের  সাবেক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা ওরফে টিনুর নাম ছিল সবার ওপরে। যুবলীগের নেতা হিসেবে পরিচয় দেওয়া তাঁর প্রশ্রয়ে ছিল ১৪টি কিশোর গ্যাং। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার হামজারবাগ এলাকার বাসিন্দা মনির আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কিশোর গ্যাংয়ের যাঁরা নেতৃত্ব দিতেন তাঁরা এখন পলাতক। তবে কিছু সদস্য বিভিন্ন সময় অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়ানোর কথা জানতে পারি। আশা করব প্রশাসন তাদের গ্রেপ্তার করবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা কালের কণ্ঠকে বলেন, চট্টগ্রামে বর্তমানে কিশোর গ্যাংয়ের বড় ভাইয়েরা আত্মগোপনে চলে গেছেন। ৫ আগস্টের পর বেশ কিছুদিন কিশোর গ্যাংয়ের তেমন উৎপাত ছিল না। সম্প্রতি চট্টগ্রামের  বায়েজিদ বোস্তামী ও চান্দগাঁও এলাকা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ আসছে। কোতোয়ালি থানা এলাকায়ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের দৌরাত্ম্য আছে। একসময় কোতোয়ালিতে ২৩টি ও বায়েজিদে ১৯টি কিশোর গ্যাং গ্রুপ সক্রিয় ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>