<p>কৃষক ও ব্যবসায়ীদের থেকে আশানুরূপ সাড়া না মেলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটের ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) পশ্চিমাঞ্চল রেলের পাকশী বিভাগের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পরদিন শনিবার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়নি।</p> <p>এর আগে গত শনিবার (২৬ অক্টোবর) উদ্বোধন হয়ে কোনো মালামাল ছাড়াই ঢাকা আসে।</p> <p>নাসির উদ্দিন বলেন, কৃষকদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিয়ে চেষ্টা করা হলেও পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধীনে চালু হওয়া ৩টি ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ চলাচলে যথেষ্ট সাড়া পাওয়া যায়নি। এ কারণে আপাতত রহনপুর ও প্রতি বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়ের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম স্টেশন থেকে চলাচলকারী ট্রেন উদ্বোধনের পরের ট্রিপেই বন্ধ করা হচ্ছে। তবে ট্রেন দুটি চূড়ান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="কৃষিপণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেল স্পেশাল ট্রেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729777465-9c6d393f73ab5650904480416581f76d.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>কৃষিপণ্য ছাড়াই ছেড়ে গেল স্পেশাল ট্রেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/24/1438744" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি আরো বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলের অধীনে খুলনা থেকে প্রতি মঙ্গলবার ঢাকা পর্যন্ত যাত্রা শুরু করা অপর ‘কৃষিপণ্য স্পেশাল ট্রেন’ ইতোমধ্যে দুই ট্রিপ চলেছে। এই ট্রেনটির আর চলবে কি না, সে সিদ্ধান্ত আসেনি।</p> <p>রাজশাহী স্টেশন ম্যানেজার শহিদুল আলম বলেন, প্রথম ট্রিপে তেমন কোনো আয় না হওয়ায় উচ্চ খরচের ট্রেনটি দ্বিতীয় ট্রিপ থেকেই বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে পাঁচ মৌসুম ধরে চলাচলকারী ম্যাংগো স্পেশাল ও চার মৌসুম ধরে চলাচলকারী ক্যাটল স্পেশাল ট্রেনের মতই নিয়মকানুনে ট্রেনটি চলা শুরু করে। তবে ট্রেনটির ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকার কৃষক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও আশানুরূপ সাড়া মেলেনি।</p> <p>রেল সূত্র জানায়, প্রথম ট্রিপে গত শনিবার সকালে রহনপুর থেকে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনটিতে কোনো পণ্য বহন করা হয়নি। স্বল্প পরিবহণ খরচের এই ট্রেনে সাধারণ লাগেজ ভ্যানের পাশাপাশি রেফ্রিজারেটেড লাগেজ ভ্যানে মাছ, মাংস দুধসহ পচনশীল পণ্য পরিবহণ করার ব্যবস্থা রাখা হয়। রহনপুর থেকে ঢাকা পর্যন্ত কুলি খরচ ব্যতীত প্রতি কেজি পণ্যের ভাড়া নির্ধারণ হয়  ১ টাকা ৩০ পয়সা। ট্রেনটি এই রুটে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, সদর উপজেলার আমনুরা জংশন, রাজশাহীর কাঁকনহাট, রাজশাহী সদর, সরদহ রোড, আড়ানী, নাটোরের আব্দুলপুর, আজিমনগর, পাবনার ঈশ্বরদী বাইপাস, চাটমোহর, বড়ালব্রীজ ও জয়দেবপুর হয়ে ঢাকা যায়। তবে স্টেশনভেদে ভাড়া ভিন্ন ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১৫" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/25/1729838158-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিনাজপুরে যাত্রীবাহী বাস উল্টে নিহত ১, আহত ১৫</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/25/1439001" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও চাষীরা ট্রেন চালুর সময় বলেন, পণ্য একবার জমি থেকে পরিবহণ খরচ দিয়ে স্টেশনে নেওয়া, এরপর কুলি খরচ দিয়ে ট্রেনে ওঠানো। আবার ট্রেন থেকে ঢাকায় অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ কুলি চার্জ দিয়ে নামানো। আবার পরিবহণ খরচ দিয়ে মোকামে নেওয়া। সেখান থেকে বাজারে নেওয়া। খরচ শুধু বেশি নয়, রয়েছে ভোগান্তি ও বিড়ম্বনা।</p> <p>ঢাকার বাজার ধরতে ট্রেনের সময়সূচি নিয়েও আপত্তি করেন অনেক ব্যবসায়ী ও চাষী। অনেকে ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। ব্যবসায়ীদের হিসেবে রহনপুর থেকে দুই বা আড়াই টাকার ট্রাকের মোট পরিবহণ খরচের তুলনায় ট্রেনে তিন টাকার বেশি খরচে তাদের পোষাবে না।</p>