<p>জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও চক্ষুদান দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে স্থানীয় একটি মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক মানুষের রক্তের গ্রুপ নির্ধারণ করা হয়।</p> <p>শনিবার (২ নভেম্বর) সদর উপজেলার পুরাতন মানিকদান গ্রামের আশ্রায়ন প্রকল্পে ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন কার্যক্রমটি অনুষ্ঠিত হয়। তা উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জনাব সুজন দাস।</p> <p>তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের রক্তের গ্রুপ জানা অতীব জরুরি। কিন্তু টাকার অভাবে যেসব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নিজেদের রক্তের গ্রুপ জানেন না তাদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপের এই মহতী উদ্যোগকে আমরা শুভসংঘ থেকে অভিবাদন জানাই।’</p> <p>ব্লাড গ্রুপিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ গোপালগঞ্জ-এর শিক্ষার্থী রাজীব কুমার সাহা, রাজ জয়ধর, প্রীতম দাস, অভিজিৎ দাস, প্রান্ত পাল। </p> <p>মেডিক্যাল শিক্ষার্থী রাজীব কুমার সাহা আশ্রায়ন প্রকল্পে উপস্থিত সবাইকে রক্তদানের বিষয়ে সচেতন করে এ কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনি বলেন, ‘রক্তদান ভয়ের কিছু নয়। নিজের ব্লাড গ্রুপিং করা থাকলে নির্দিষ্ট সময় পর পর রক্তদান করলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কম থাকে।’ </p> <p>ব্লাড গ্রুপিং করতে আসা শিক্ষার্থী মাবিয়া আক্তার (৯ )বলেন, ‘আব্বা রিকশা চালায়। ইশকুলেরতে (স্কুলে) রক্ত পরীক্ষা করতে কইছিলি। কিন্তু আব্বা টাহা (টাকা) দেয় নাই। তাই জানতাম না রক্তের নাম কি। আইজ জানলাম আমার রক্তের নাম এ পজেটিভ। অনেক ভালা লাগতেছে আইজ (আজ)।’</p> <p>ব্লাড গ্রুপিং ক্যাম্পেইন চলাকালে আরো উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা শুভসংঘ গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক তূর্জ রহমান, সমাজসেবা সম্পাদক অয়ন সাহা, শিক্ষা ও পাঠাগার সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সাব্বির, ক্রীড়া সম্পাদক তমাল বোস, প্রচার সম্পাদক সামিউল আলম সহ আরো অনেকে।</p>