<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফরমে মত প্রকাশের কারণে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যেসব মামলা করেছিল, সেসব মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও নিষ্পত্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রত্যাহার হলে মামলাসংশ্লিষ্ট গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তাত্ক্ষণিকভাবে মুক্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানান আইন মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">“</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং গত বছর প্রণীত সাইবার নিরাপত্তা আইনে দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচ হাজার ৮১৮টি মামলা চলমান রয়েছে। গত আগস্ট পর্যন্ত এসব মামলা হয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ডিজিটাল মাধ্যমে মত প্রকাশের কারণে দায়ের হওয়া মামলাগুলোকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্পিচ অফেন্স</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এবং কম্পিউটার হ্যাকিং বা অন্য কোনো ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতিকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কম্পিউটার অফেন্স</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">”</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলার পরিসংখ্যান তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমানে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত এক হাজার ৩৪০টি মামলা চলমান রয়েছে; যার মধ্যে ৪৬১টি মামলা তদন্তাধীন এবং ৮৭৯টি মামলা দেশের আটটি সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। স্পিচ অফেন্সের এক হাজার ৩৪০টি মামলার মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলা আছে ২৭৯টি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ৭৮৬টি এবং সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা ২৭৫টি রয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বর্তমান সরকার স্পিচ অফেন্সসংক্রান্ত মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এসংক্রান্ত এক হাজার ৩৪০টি মামলার মধ্যে বিচারাধীন ৮৭৯টি মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা হবে। আর তদন্তাধীন ৪৬১টি মামলা চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়ে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে। এসব মামলায় কেউ গ্রেপ্তার থাকলে তিনি এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাত্ক্ষণিকভাবে মুক্তি পাবেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>