<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের শুরু ১৯৭৮ সালে। মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে আসা ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে নতুন করে আশ্রয়প্রার্থীদের ঢলের আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ নজিরবিহীন সংকটে পড়তে যাচ্ছে মায়ানমারের রাখাইন রাজ্য। খাদ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় উন্নতির সম্ভাবনা না থাকায় রাখাইন রাজ্য বর্তমানে দুর্ভিক্ষের দ্বারপ্রান্তে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ নিতে মায়ানমারের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই চলছে। আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অন্য রাজ্যগুলোর সঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। চলাচল, পরিবহনের ওপর বিধি-নিষেধও চলছে। অবনতিশীল পরিস্থিতির কারণে প্রাণ বাঁচাতে রাখাইন রাজ্যের বাসিন্দারা অন্যত্র আশ্রয়ের সুযোগ খুঁজছে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ (আইসিজি) গত আগস্টেই জানিয়েছিল, বিদ্রোহী আরাকান আর্মি রাখাইনের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সেখানে তাদের শাসন প্রতিষ্ঠার পর বড় ধরনের চ্যালেঞ্জে পড়েছে। রাখাইনে নিত্যপণ্য সরবরাহে মায়ানমারের জান্তা কর্তৃপক্ষের অবরোধ থাকার কারণে বেসামরিক জনগণকে ভুগতে হচ্ছে। রাখাইন রাজ্যে দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস সম্পর্কে ক্রাইসিস গ্রুপের মায়ানমার ও বাংলাদেশ বিষয়ক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক থমাস কিয়ান গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেছেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউএনডিপির প্রতিবেদনে যে তথ্যগুলো উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগের। রাখাইনে প্রবেশাধিকার ও যোগাযোগে বিধি-নিষেধের কারণে সেখানকার পরিস্থিতি যাচাই করা কঠিন। তবে এটি স্পষ্ট যে রাখাইনে নাজুক পরিস্থিতির প্রভাব সেখানে সব জাতিগোষ্ঠীর ওপর পড়ছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নিজেই অনেক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। প্রতিবেশী রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে এর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বাংলাদেশকে অবশ্যই উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। গত বছর রাখাইনে নতুন করে সংঘাত শুরুর পর প্রায় অর্ধলক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করার তথ্য পাওয়া যায়। ওই রোহিঙ্গাদের বেশির ভাগ বাংলাদেশে ঢুকেছে গত কয়েক মাসে।  </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মায়ানমারকে এই গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধিবাসীদের ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের অধিকার। ফিরিয়ে নিতে হবে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের। মানবিক কারণে এখন আশ্রয় দিলেও এই বিপুল জনগোষ্ঠীর ভার বহন করার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের নেই। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কয়েক শ সদস্যকে দমনের নামে নির্বিচারে মানুষ হত্যা, আবাসভূমি থেকে তাদের উচ্ছেদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ডেকে দেখাতে হবে মানবিকতার বিপর্যয়। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশের দিকে আরো বাস্তুচ্যুতি রোধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একান্ত সহযোগিতা প্রয়োজন।</span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>