<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনটি শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে ব্যাপক উত্কর্ষ সাধনের পর প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্ব এখন নতুন এক বিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে। তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, জৈব-প্রযুক্তির উদ্ভাবন, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের মতো বিষয়গুলো নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বা ডিজিটাল বিপ্লব অতি দ্রুত বিশ্বকে বদলে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রযুক্তিনির্ভর চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যখন দোরগোড়ায়, তখন শুধু কায়িক শ্রমের চাহিদা নেই বললেই চলে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, গত সোমবার এসএমই ফাউন্ডেশন এবং জার্মান উন্নয়ন সংস্থা ফ্রেডরিক-ইবার্ট-স্টিফটাংগ (এফইএস) বাংলাদেশের উদ্যোগে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দ্য ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন : অপরচুনিটিজ অ্যান্ড চ্যালেঞ্জেস ফর এসএমই ইন বাংলাদেশ</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সেমিনারে উল্লেখ করা হয়েছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের প্রায় ৫৪ লাখ কর্মী চাকরি হারাতে পারেন। সরকারি সংস্থা এটুআই এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) গবেষণার এই তথ্য উদ্ধৃত করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নানা আশঙ্কার পাশাপাশি তৈরি হতে পারে নতুন সম্ভাবনাও। তাই সমস্যা মোকাবেলা ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নতুন কৌশলপত্র তৈরি করা দরকার। সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়েছে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত, ফার্নিচার খাত, কৃষিপণ্য ও পর্যটন খাত এবং চামড়াশিল্পে। আশঙ্কার পাশাপাশি সম্ভবনাও রয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় উল্লেখযোগ্য পেশাগুলো হলো এআই স্পেশালিস্ট, ব্লকচেইন এক্সপার্ট, থ্রিডি ডিজাইনার, কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার, এআর অ্যান্ড ভিআর ডেভেলপার, অটোনমাস ভেহিকল টেকনিশিয়ান, ড্রোন সার্ভেয়ার, সাইবার ফিজিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম অপারেটর ও রোবট ডক্টর ভার্চুয়াল হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিষয়ে বলা হচ্ছে, অ্যাডভান্সড ম্যাটেরিয়ালস, ক্লাউড টেকনোলজি, অটোনমাস ভেহিকল, সিনথেটিক বায়োলজি, ভার্চুয়াল অগমেন্টেড রিয়ালিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবট, ব্লকচেইন, থ্রিডি প্রিন্টিং ও ইন্টারনেট অব থিংকস বা আইওটি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আগামী দিনে এই ১০টি প্রযুক্তি বিশ্বে প্রাধান্য পাবে। এই ১০টি প্রযুক্তির সঙ্গে আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে একদিকে মানুষ চাকরি হারাবে বটে, কিন্তু অন্যদিকে অত্যাধুনিক মেশিন চালানোর দক্ষ মানুষের অভাব ঘটবে। দক্ষতা থাকলে চাকরির অভাব হবে না। কাজেই মানুষকে দক্ষ হয়ে উঠতে হবে, দক্ষতা অর্জন করতে হবে। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে শিক্ষায়। ভবিষ্যতের সম্ভাবনাময় উল্লেখযোগ্য পেশাগুলো হলো এআই স্পেশালিস্ট, ব্লকচেইন এক্সপার্ট, থ্রিডি ডিজাইনার, কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স ম্যানেজার, এআর অ্যান্ড ভিআর ডেভেলপার, অটোনমাস ভেহিকল টেকনিশিয়ান, ড্রোন সার্ভেয়ার, সাইবার ফিজিক্যাল কন্ট্রোল সিস্টেম অপারেটর ও রোবট ডক্টর ভার্চুয়াল হোম অ্যাসিস্ট্যান্ট। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশের বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কম। এখন আমাদের দরকার দক্ষ মানুষ গড়ে তোলা। দক্ষ শ্রমশক্তি না থাকলে বিদেশি বিনিয়োগ আসে না। দেশে ঠিকমতো শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠে না। বিদেশ থেকে দক্ষ লোকবল এনে কারখানা চালাতে হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ হচ্ছে মেধা। বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম মেধাবী। তাদের যথাযথভাবে তৈরি করে কাজে লাগাতে পারলে আগামী দিনের বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই মেধাবীদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে। সেই বিনিয়োগ হতে হবে সৃজনশীল। জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তরের লক্ষ্যে বহুবিধ কর্মসূচি হাতে নিতে হবে। আমূল পরিবর্তন আসতে হবে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায়। শিক্ষার্থীদের গুণগত, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারলে অন্তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সামলাতে পারার মতো দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যাবে। আমাদের তরুণরা সামান্য সহযোগিতা পেলে বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জায়গায় নিয়ে যেতে পারবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের উপযুক্ত দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে সম্ভব সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।</span></span></span></span></p> <p> </p>