<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">২০২২ সালে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ শুরুর পর ঝুঁকির মাত্রা কখনোই এত বেশি ছিল না। গত সপ্তাহে যুদ্ধের এক হাজার দিন অতিক্রান্ত হয়েছে। এটি ছিল মূলত যুদ্ধের পটপরিবর্তনের সপ্তাহ। এ সময় পশ্চিমা মিত্রদের সহায়তায় ইউক্রেনের সামরিক শক্তি বেড়েছে বহুগুণ। অন্যদিকে পারমাণবিক হামলার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা ঘটেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের সমর্থন : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রবিবার রুশ ভূখণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি দূরপাল্লার এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানতে ইউক্রেনকে অনুমতি দেন বিদায়ি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অনুমোদনের খবর প্রকাশের পরপর রাশিয়ার ব্রিয়ানস্ক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের এটিএসিএমএস ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। এটি ছিল এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র প্রথমবারের মতো রুশ ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বুধবার রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ব্রিটিশ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইউক্রেন। এরপর মানববিধ্বংসী ল্যান্ডমাইন ব্যবহারে যুক্তরাষ্ট্রের চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে ইউক্রেনের সামরিক শক্তি আরো বেড়ে যায়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত এক সপ্তাহে এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে পশ্চিমারা ইউক্রেনের প্রতি তাদের সমর্থন অটুট থাকার ইঙ্গিত দিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> মঙ্গলবার রাশিয়ার পরমাণুনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়েছে বলে মত বিশ্লেষকদের।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এরপর ইউক্রেনের দিনিপ্রো শহরে পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়া। পুতিনের দাবি, এই ক্ষেপণাস্ত্রের গতি শব্দের চেয়ে ১০ গুণ বেশি এবং এই অস্ত্রকে প্রতিহত করার কোনো উপায় নেই।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বেশির ভাগ পর্যবেক্ষক বলছেন, এই হামলার মাধ্যমে রাশিয়া সতর্কবার্তা দিয়েছে যে মস্কো চাইলে এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনে পারমাণবিক হামলা চালাতে পারে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পারমাণবিক হামলার লাল রেখা চিহ্নিত করে দিয়েছেন পুতিন। তবে বরাবরই সেই রেখা অতিক্রম করেছে পশ্চিমারা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, পশ্চিমারা কেন রাশিয়ার পারমাণবিক হামলার হুমকি নিয়ে জুয়া খেলতে প্রস্তুত। এর কারণ চীন। রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমিয়ে আনতে মস্কোর গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হয়ে উঠেছে চীন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পশ্চিমাদের ধারণা, পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারে ভয়ংকর প্রতিক্রিয়া দেখাবে চীন। এ কারণে পুতিন পারমাণবিক হামলা চালাতে নিরুৎসাহিত হবেন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈশ্বিক সংঘাত : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> বৃহস্পতিবার পুতিন হুমকি দেন, বৈশ্বিক সংঘাতে পরিণত হওয়ার সব ধরনের বৈশিষ্ট্য আছে এই যুদ্ধের। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য এই যুদ্ধে আগের চেয়েও বেশি জড়িয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রুশ বাহিনীর সঙ্গে উত্তর কোরীয় সেনাদের যুদ্ধে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আরো একটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশ ইউক্রেন যুদ্ধে সম্পৃক্ত হলো।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন গত বৃহস্পতিবার বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাইডেনের বিদায়, ট্রাম্পের আগমন : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইউক্রেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> যুদ্ধের চলমান পরিস্থিতির সম্ভাব্য কারণ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন। নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলে এসেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করবেন। তার রানিংমেট জে ডি ভ্যান্সের বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে ইউক্রেনকে আপস করতে হবে। সম্ভবত ক্রিমিয়া ও ডনবাস অঞ্চল রাশিয়াকে ছেড়ে দেওয়া লাগতে পারে। আর এই পদক্ষেপ বিদায়ি বাইডেন প্রশাসনের অবস্থানের সম্পূর্ণ বিরোধী। এ কারণে আগামী জানুয়ারিতে ট্রাম্প শপথ নেওয়ার আগেই ইউক্রেনকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করে যেতে চাইছেন বাইডেন। সূত্র : বিবিসি</span></span></span></span></p> <p> </p>