<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খরার প্রভাবে পানামা খাল দিয়ে জাহাজ চলাচলে এক বছরের জন্য বিধি-নিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। আটলান্টিক ও প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যে নৌপথ স্থাপনকারী এই জলপথ পার হতে এরই মধ্যে জাহাজের জট তৈরি হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানামা খাল দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জাপানের বাণিজ্যই বেশি হয়। বৃষ্টির পানিস্বল্পতায় ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ পানামা খালে জাহাজ চলাচল প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়েছে। এই জলপথের মাধ্যমে বর্তমানে বিশ্বের ৬ শতাংশ সামুদ্রিক বাণিজ্য হয়।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">খাল দিয়ে জাহাজ চলাচলের বিধি-নিষেধ প্রসঙ্গে পরিচালনা কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রশাসক ইলিয়া এসপিনো বলেন, আগামী তিন মাস বৃষ্টি না হলে এক বছরের মতো চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। এর মধ্যে উদ্ভূত পরিস্থিতির সঙ্গে কিভাবে খাপ খাওয়ানো যায়, তা নিয়ে কাজ করা হবে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পানামা খালের জলপথ মিঠা পানির ওপর নির্ভরশীল। কারণ এই পথ দুটি আলাদা সামুদ্রিক জলরাশিকে যুক্ত করেছে। আলাদা সাগরের আলাদা জীববৈচিত্র্যের কথা মাথায় রেখে এবং মিঠা পানির সঙ্গে নোনা পানির মিশ্রণ ঠেকাতে পানামা খালকে শুধু মিঠা পানির পথ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একটি জাহাজের পানামা খাল অতিক্রমের জন্য ২০ কোটি লিটারের মতো মিঠা পানির প্রয়োজন, যা আলাদা দুটি কৃত্রিম ছোট খাল থেকে সরবরাহ করা হয়। এই দুটি খাল দিয়ে আশপাশের বৃষ্টির পানি পানামা খালে এসে পড়ে। অর্থাৎ আশপাশে বৃষ্টি না হলে ওই ছোট দুটি খালে পানিপ্রবাহ হ্রাস পায়। এ ছাড়া ওই দুটি খাল দেশটির অর্ধেক অর্থাৎ ৪২ লাখ মানুষের নিরাপদ পানযোগ্য পানির সংস্থান করে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গত বছর পানামা খাল দিয়ে প্রতিদিন ৪০টির মতো জাহাজ চলাচল করত। কিন্তু এবার পানিসংকটের প্রভাবে সেই সংখ্যা ৩২টিতে নেমে এসেছে। চলাচলের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতার কারণে খালের মুখে জাহাজের জট তৈরি হয়েছে। সাধারণত গড়ে ৯০টির মতো নৌযান অপেক্ষমাণ থাকে। তবে গত বৃহস্পতিবার ১৩০টির মতো নৌযানকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অপেক্ষার সময় তিন থেকে পাঁচ দিনের মতো হয়ে থাকে। কখনো কখনো তা ১৯ দিনে গিয়ে ঠেকেছে। তবে এখন ১১ দিনের মতো সময় লাগছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কর্তৃপক্ষ বলছে, জাহাজ চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আরোপের কারণে চলতি বছরের তুলনায় আগামী বছর সম্ভবত ২০ কোটি ডলার লোকসান হবে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৯১৪ সাল চালুর পর একে গোটা বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক নির্মাণ প্রকল্প হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে পানামা খালের অস্তিত্ব নিয়েই সংশয় প্রকাশ করেছেন এর পরিচালনা প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রশাসক রিকার্তে ভাসকেজ। তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">টিকে থাকতে কিংবা প্রাসঙ্গিক জলপথ হিসেবে অস্তিত্ব বজায় রাখতে আমাদের সমাধান খুঁজতে হবে। যদি আমরা খাপ খাওয়াতে না পারি তবে আর টিকে থাকব না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সূত্র : এএফপি </span></span></span></span></p>