<p>তাইওয়ানের চারপাশে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীনের যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ। তাইওয়ান বলেছে, উসকানি দিচ্ছে চীন। সোমবার থেকে এই সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন। মহড়া শুরুর পর গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত তাইওয়ানের চারপাশে রেকর্ড সংখ্যক চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করা হয়েছে।</p> <p>এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন বড় আকারের সামরিক মহড়া শুরুর পর সরকারি তথ্য অনুয়াযী, ১৫৩টি চীনা সামরিক বিমান শনাক্ত করা হয়েছে। গত ২৫ ঘন্টার মধ্যে এসব যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, এক দিনের জন্য এই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।</p> <p>সোমবার তাইওয়ানকে ঘিরে বেইজিং যুদ্ধবিমান, ড্রোন, যুদ্ধজাহাজ এবং উপকূলরক্ষী নৌযান মোতায়েন করে। তাইওয়ানও এ ঘটনার পর তাদের সামরিক বাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকতে বলে। </p> <p>এদিকে তাইওয়ান ঘিড়ে চীনের এই সামরিক মহড়াকে ‘অযৌক্তিক এবং উসকানিমূলক’ বলে নিন্দা করেছে দেশটি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এটাকে ‘অযৌক্তিক’ বলে অভিহিত করেছে। চীন তাইওয়ানকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে দাবি করে এবং গতকাল সোমবার জোর দিয়ে বলেছে, তারা দ্বীপটিকে তার নিয়ন্ত্রণে আনতে শক্তি প্রয়োগ করে যাবে। </p> <p>তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১১১টি যুদ্ধবিমান সংবেদনশীল তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে, যে রেখা চীন এবং তাইওয়ানকে পৃথক করেছে। এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সোমবার চীনের অবাঞ্ছিত পদক্ষেপ ঝুঁকি বৃদ্ধির করেছে। তারা বেইজিংকে সংযমের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে।</p> <p>চীন বলেছে, জয়েন্ট সোর্ড ২০২৪বি নামক এই মহড়া তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই মহড়া তাইওয়ানের স্বাধীনতা বাহিনীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য একটি কঠোর সতর্কবাণী।</p> <p>তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গত মে মাসে ক্ষমতা গ্রহণ করেন। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তার পূর্বসূরি সাই ইং-ওয়েনের চেয়ে বেশি স্পষ্টবাদী তিনি। তার এমন আচরণ বেইজিংকে রাগান্বিত করেছেন এবং তাকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলে অভিহিত করেছে।</p> <p>গত বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের জাতীয় দিবসের বক্তৃতায় লাই অধিভুক্তি প্রতিরোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, বেইজিং এবং তাইপেই ‘একে অপরের অধীনস্থ নয়’।</p> <p>চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে বিরোধটি শুরু হয় যখন ১৯৪৯ সালে ক্ষমতায় থাকা চিয়াং কাই-শেকের জাতীয়তাবাদী বাহিনী মাও সেতুং-এর কমিউনিস্ট যোদ্ধাদের কাছে পরাজিত হয়। এরপর ১৯৪৯ সালে দ্বীপে (তাইওয়ান)-এ পালিয়ে যায়। তখন থেকে চীন ও তাইওয়ানে আলাদাভাবে শাসন চলছে।</p> <p>সূত্র : এএফপি</p>