<p>পৃথিবী ঘুরছে নিজ অক্ষের ওপর ঘুরছে। আবার সূর্যের চারপাশেও ঘুরছে। কিন্তু কেন এই ঘূর্ণন?</p> <p>আজ থেকে প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে সৌরজগতের জন্ম। তার আগে এটি ছিল গ্যাস ও ধূলিকণার বিশাল এক মেঘ। এই মেঘ ধীরে ধীরে সংকুচিত হতে থাকে। কেন্দ্রে এসে ঝড়ো সেগুলোি। ফরে ঘূর্ণিঝড়ের মতো কেন্দ্রীয় কুণ্ডলিটি ঘুরতে থাকে। একসময় সেই কুণ্ডলির ভেতরকার গ্যাস ও ধূলিকণা জড়ো হয়ে সূর্যের জন্ম দেয়। কিন্তু সূর্য তৈরি হওয়ার পরও অবশিষ্ট কিছু গ্যাস ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="স্বপ্ন কি ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়? বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728911784-76da4e09c75a586c869a26124528a363.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>স্বপ্ন কি ভবিষ্যতের ইঙ্গিত দেয়? বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/14/1435092" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সেগুলো বিচ্ছিন্নভাবে সূর্যের চারপাশে ঘুরছিল। এবং সেগুলোও আলাদা আলাদাভাবে কুণ্ডলি তৈরি করে  জড়ো হচ্ছিল কেন্দ্রের দিকে। সেই কুণ্ডলিও নিজ অক্ষের ওপর ঘুরছিল। ঘুরতে থাকা এসব গ্যাস থেকেই পরে আলাদা আলাদাভাবে পৃথিবীসহ অন্যান্য গ্রহগুলোরও জন্ম হয়। গ্যাস মেঘের সেই ঘূর্ণনই এখন পৃথিবীর ঘূর্ণন হিসেবে রয়ে গিয়েছে।</p> <p>পৃথিবীর ঘূর্ণনের পেছনে কাজ করছে গতিসূত্রগুলো। বিশেষ করে ভরবেগের সংরক্ষণসূত্র। পৃথিবীর জন্মলগ্নে গ্যাস, ধূলিকণা ও নুড়িপাথরের পারস্পারিক আকর্ষণের মাধ্যমে জমাট বেঁধেছিল। এবং সেই মুহূর্তেও এর আগের ঘূর্ণন বজায় ছিল। ভরবেবেগের সংরক্ষণনীতি অনুযায়ী এই ঘূর্ণন থামানোর জন্য বাড়তি বল প্রয়োগের দরকার ছিল। সেই বল বা শক্তির জোগান দেওয়ার মতো কোনো শক্তিই তখন ছিল না, এখনো নেই। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বই পড়া ক্ষতিকর!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728904674-d401977f80d645d5e4eb84841a360ac5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বই পড়া ক্ষতিকর!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/14/1435063" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পৃথিবীর ঘূর্ণন দুই ধরনের, সেটা আগেই বলেছি। একটা হলো নিজ অক্ষের ওপর ঘূর্ণন। এর কারণেই দিন রাত হয়। প্রতি চব্বিশ ঘণ্টায় একবার করে ঘূর্ণনসম্পন্ন হয়।</p> <p>পৃথিবী শুধু নিজের অক্ষের চারপাশে ঘোরে না, এটি সূর্যের চারপাশেও ঘোরে। এই ঘূর্ণনকে বলা হয় বার্ষিক গতি। সূর্যকে চারপাশে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন সময় নেয়। এই ঘুর্ণনের ফলেই ঋতু পরিবর্তন হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিপর্যস্ত বৃহস্পতির রেড স্পট" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728827007-c624ab9fa367b1e283dde4a2c8cd7b81.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিপর্যস্ত বৃহস্পতির রেড স্পট</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/13/1434757" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রশ্ন হচ্ছে, পৃথিবীর এই ঘূর্ণন কি কখনো থামবে? </p> <p>বর্তমানে ধীরে ধীরে পৃথিবীর ঘূর্ণন গতি কমে যাচ্ছে। তবে সেটা এতই ধীরে, যে আমরা টের পাই না। এর পেছনে বড় কারণ চাঁদের প্রভাব। কিন্তু এই ঘূর্ণন গতি কমে যাওয়ার যে হার, তাতে পৃথিবী পুরোপুরি স্থির হওয়ার আগেই হয়তো সৌরজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।</p> <p>সূত্র: হাউ ইটস ওয়ার্কস<br />  </p>