<p>মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র লেবাননের সঙ্গে সীমান্তে ইসরায়েলের সামরিক অবস্থান পর্যবেক্ষণ করছে। গতকাল সোমবার মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন, ইসরায়েল আক্রমণ শুরু করার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে কিন্তু পরিকল্পনার সঠিক বিবরণ তারা জানে না।</p> <p>গতকাল সোমবার হোয়াইট হাউস ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র আল-অ্যারাবিয়া ইংলিশকে বলেছেন, ‘হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংস করার জন্য সীমিত আকারে স্থল অভিযান চালানোর ইসরায়েলের পরিকল্পনাকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।’</p> <p>ওই মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েল হিজবুল্লাহর অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করছে, যেগুলো ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’</p> <p>মুখপাত্র আল-আরাবিয়াকে আরো বলেন, ‘এই অভিযান ইসরায়েলের নাগরিকদের রক্ষা এবং বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমরা  ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন করি।’</p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আমরা জানি এই অভিযান ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং আমরা ইসরায়েলিদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যাব। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তা অর্জনের একমাত্র উপায় কূটনৈতিক সমাধান।’ </p> <p>এদিকে পেন্টাগন প্রেস সেক্রেটারি মেজর জেনারেল প্যাট রাইডারের একটি বিবৃতি অনুসারে, মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিনও হিজবুল্লাহর অবকাঠামোগুলো গুঁড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে তার সমর্থন জানিয়েছেন। </p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘প্রতিরক্ষাসচিব অস্টিন ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ, হামাস, হুথি এবং অন্যান্য ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার জন্য ইসরায়েলের অধিকারের প্রতি মার্কিন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’</p> <p>তাতে আরো বলা হয়, ‘হিজবুল্লাহ যাতে ইসরায়েলের ওপর ৭ অক্টোবরের মতো আক্রমণ চালাতে না পারে এবং তা নিশ্চিত করার জন্য সীমান্তে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর অবকাঠামো ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সম্মত হয়েছে।’</p> <p>আরো বলা হয়, ‘সীমান্তের উভয় পাশের বেসামরিক নাগরিকরা যাতে নিরাপদে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য একটি কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন। তিনি (অস্টিন) এবং মন্ত্রী গ্যালান্ট দ্রুত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা প্রদানের জন্য সামরিক অভিযান থেকে চূড়ান্তভাবে একটি কূটনৈতিক পথের দিকে অগ্রসর হওয়ার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।’</p> <p>অস্টিন ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘যদি ইরান সরাসরি ইসরায়েলে হামলা চালায় তাহলে  ‘মারাত্মক পরিণতির’ হতে পারে।’  </p> <p>এদিকে আজ মঙ্গলবার স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়ে লেবানন সীমান্তে ঢুকে পড়ে ইহুদিবাদী সেনারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, হামলাটি সীমিত এবং নির্ধারিত লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে।</p> <p>ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, কয়েক ঘণ্টা আগে হিজবুল্লাহর অবকাঠামো লক্ষ্য করে দক্ষিণ লেবাননের সীমান্তবর্তী কয়েকটি গ্রামে ‘নির্দিষ্ট এবং সীমিত’ স্থল অভিযান শুরু করেছে সেনারা। ব্লু লাইনের কাছে অবস্থিত হিজবুল্লাহর এই অবকাঠামোগুলো ইসরায়েলি শহরগুলোর জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছে।</p> <p>এদিকে মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা মধ্যপ্রাচ্যে আরো কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করবে। এর আগে, দখলদার ইসরায়েলের সম্ভাব্য স্থল হামলার শঙ্কার মধ্যে ইসরায়েল-লেবানন সীমান্ত থেকে সরে যায় লেবাননের সেনারা। </p> <p>বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গতকাল সোমবার রাতে লেবাননের সেনাবাহিনীর সেনারা সরে যেতে শুরু করেন। প্রতিবেশী দেশটিতে সম্ভাব্য স্থল অভিযানের আগে সোমবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের সঙ্গে তার উত্তর সীমান্তের কিছু অংশ একটি সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করেছে। সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘উত্তর ইসরায়েলের মেটুলা, মিসগাভ আম এবং কাফার গিলাদি এলাকাগুলোয় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’</p> <p>সূত্র : আল-অ্যারাবিয়া।</p>