<p>দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার জামিন দিলেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ইডির মামলায় আগেই তিনি অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন। এ বার সিবিআইয়ের মামলাতেও জামিন মিলল।</p> <p>জামিন পাওয়ায় প্রায় ছয় মাস পর জেল থেকে ছাড়া পাবেন কেজরিওয়াল। তবে জামিনের আদেশে শর্ত দেওয়া হয়েছে, কেজরিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর অফিস বা সচিবালয়ে যেতে পারবেন না, তিনি এই মামলা নিয়ে কোনো কথা বলতে পারবেন না, ফাইলেও সই করতে পারবেন না।</p> <p>ফলে কেজরিওয়ালকে আগে যে জামিনের শর্ত দেওয়া হয়েছিল, সেটাই বহাল রাখা হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে প্রচার করার জন্য জামিন দিয়েছিলেন। কেজরিওয়ালকে প্রথমে দেশটির অর্থনৈতিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) গ্রেপ্তার করে। সেখানেও তিনি জামিন পান। তখন জামিনের কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছিল। পরে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাও (সিবিআই) তাকে গ্রেপ্তার করে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="জেল থেকে বের হলেন কেজরিওয়াল, যেসব শর্ত দিয়েছেন আদালত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/05/10/1715351136-6a74a408f9bcb56f4dd465fd30a02809.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>জেল থেকে বের হলেন কেজরিওয়াল, যেসব শর্ত দিয়েছেন আদালত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/05/10/1386617" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে জামিনের এই শর্ত নিয়ে দুই বিচারপতির মধ্যে মতপার্থক্য আছে। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছেন, তিনি আগের শর্ত এ ক্ষেত্রেও বহাল রাখতে চান। কিন্তু বিচারপতি ভুয়ান বলেছেন, ‘কেজরিওয়ালকে সচিবালয়ে যেতে মানা করা এবং ফাইলে সই করা নিয়ে যে সব শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে আমার সিরিয়াস রিজার্ভেশন আছে। তবে আমি এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলছি না।’</p> <p>যেহেতু দুই বিচারপতি কেজরিওয়ালকে জামিন দেওয়া নিয়ে একমত হয়েছেন, তাই তিনি জামিন পাচ্ছেন। তবে শর্ত বহাল থাকছে।</p> <p><strong>গ্রেপ্তারি নিয়ে দুই বিচারপতি ভিন্নমত</strong><br /> ইডির করা মামলায় কেজরিওয়াল জামিন পাওয়ার পর সিবিআই যেভাবে তড়িঘড়ি করে কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে তা নিয়ে দুই বিচারপতি একমত হতে পারেননি। বিচারপতি সূর্যকান্ত বলেছেন, ‘সিবিআই পদ্ধতিগত দিক থেকে কোনো বেআইনি কাজ করেনি।’</p> <p>কিন্তু বিচারপতি ভুয়ান বলেছেন, ‘সিবিআই ২০২৩ সালের মার্চে কেজরিওয়ালকে জেরা করল, কিন্তু তাকে গ্রেপ্তার করল না। যখন ইডি তাকে গ্রেপ্তার করল এবং তার ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হলো, তখন তারা কেজরিওয়ালকে তড়িঘড়ি করে গ্রেপ্তার করল। ২২ মাস তারা কেজরিওয়ালকে হেফাজতে নিতে চায়নি। ইডির মামলায় জামিনের পর তারা সক্রিয় হয়ে উঠলে।’</p> <p>তিনি আরো বলেছেন, ‘সিবিআই যে কেজরিওয়ালকে দেরিতে গ্রেপ্তার করেছে তা অন্যায্য। যে কারণ দেখিয়ে সিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করেছে, তার ন্যায্যতা তারা প্রমাণ করতে পারেনি। তারা এ নিয়ে জবাব এড়িয়ে গেছে।’</p> <p><strong>বিচারপতি ভুয়ানের পর্যবেক্ষণ</strong><br /> বিচারপতি ভুয়ান সিবিআইয়ের প্রবল সমালোচনা করেছেন। তাদের কাজ নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি আবার সিবিআই প্রসঙ্গে ‘খাঁচায় বন্দি তোতাপাখি’র প্রসঙ্গ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তাদের এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’</p> <p>তিনি জানিয়েছেন, ‘এই ধারণার গুরুত্ব আছে। সিবিআইকে দেখাতে হবে, তারা খাঁচাবন্দি তোতা নয়। সিবিআইয়ের উচিত যাবতীয় সন্দেহের ওপরে ওঠা।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মুখ্যমন্ত্রীর পদ না ছাড়ায় কেজরিওয়ালকে তিরস্কার হাইকোর্টের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/04/26/1714145683-d09de206abc5bb3cdf7fb890cef41443.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মুখ্যমন্ত্রীর পদ না ছাড়ায় কেজরিওয়ালকে তিরস্কার হাইকোর্টের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/04/26/1382572" target="_blank"> </a></div> </div> <p>প্রসঙ্গত, গত ২১ মার্চ আবগারি দুর্নীতি মামলায় কেজরিকে গ্রেপ্তার করেছিল ইডি। পরে সিবিআইও তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেপ্তারের আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেননি কেজরি। ফলে তিনিই হয়েছেন দেশটির প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পদে থাকাকালীন গ্রেপ্তার হয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের সময়ে দলের হয়ে প্রচারের জন্য আম আদমি পার্টির নেতাকে শীর্ষ আদালত কয়েক দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিলেন। পরে আবার তিনি তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করেন।</p> <p>সূত্র : ডয়চে ভেলে, আনন্দবাজার পত্রিকা</p>