<p>মালদ্বীপের বিপক্ষে আজ আধিপত্য দেখিয়েও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। ১-০ ব্যবধানের গোলটিও হজম করেছে ডিফেন্ডারদের ভুলে। মালদ্বীপের গোলদাতা আলী ফাসির যখন হেডে বল জালে জড়ালেন তখন বাংলাদেশের কোনো ডিফেন্ডারই তাকে বাধা দেননি। </p> <p>বিরতির পর সমতায় ফেরার বেশ কিছু দারুণ সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেসব কাজে লাগাতে পারলেও বড় ব্যবধানের জয়ও পেত বাংলাদেশ। কিন্তু প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক হুসাইন শরীফের বীরত্ব, গোলপোস্ট বাধা আর ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং ব্যর্থতায় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশকে। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার এত সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও তা করতে না পারায় হতাশ হয়েছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। ম্যাচে শেষে তাই হারকে মেনে নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মালদ্বীপের গোলরক্ষকের কাছেই হারল বাংলাদেশ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/13/1731506952-85c61ee516a358fb72b5abef1d0bf629.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মালদ্বীপের গোলরক্ষকের কাছেই হারল বাংলাদেশ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/11/13/1446258" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এমন হার ব্যাখ্যা করা কঠিন জানিয়েছে বাংলাদেশি কোচ কাবরেরা বলেছেন, ‘ব্যাখ্যা করা সত্যি কঠিন। এই হার সত্যি কষ্টদায়ক। কারণ অনেক সুযোগ এসেছিল আমাদের সামনে। যেগুলো আমরা গোলে পরিণত করতে পারতাম কিন্তু পারিনি। দলের পারফরম্যান্সে খুশি কারণ যেভাবে আমরা পরিশ্রম করেছি, খেলেছি সেটা ইতিবাচক দিক। এখনো অনেক কিছু পরিবর্তনের সুযোগ আছে। কিন্তু এই হার কোনো কিছু দিয়েই ব্যাখ্যা করা যাবে না। এখন থেকেই ইতিবাচক দিকগুলো নিতে হবে।’</p> <p>পুরো ম্যাচে প্রায় নিশ্চিত ৪-৫টি গোল বাঁচিয়েছেন মালদ্বীপের গোলরক্ষক শরীফ। অবশ্য এর মধ্যে কয়েকটি আরো ভালোভাবে ফিনিশিং করতে পারতেন রাকিব- মোরসালিনরা। সঙ্গে পোস্টও বাধা হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশের সামনে। সুযোগগুলো নিয়ে তাই হতাশাই ঝড়েছে কাবরেরা কণ্ঠে। স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘ভাগ্যের ব্যাপার নিয়ে কিছু বলতে পছন্দ করি না। আজ আমরা সব কিছু করেছি, সব কিছু। আপনি যদি পরিসংখ্যান রিপোর্ট দেখেন, তাহলে আমরা কতগুলা আক্রমণ করেছি, সুযোগ তৈরি করেছি সেসব দেখতে পাবেন। আমরা যেভাবে খেলেছি তাতে অন্তত ৩-৪ গোল করতে পারতাম। আমরা শুধু আজ গোলটাই পাইনি। হারলেও আমরা আরো ভালো খেলেছি। আমরা কতগুলো সুযোগ তৈরি করেছি, অনেক ম্যাচের চেয়েও যেটা বেশি। প্রায় ৪০ ম্যাচ খেলেছি, মনে হয় সবগুলোর চেয়ে বেশি সুযোগ তৈরি করেছি আজ।’</p> <p>বসুন্ধরাতেই আগামী ১৬ নভেম্বর ফিফা উইন্ডোর দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। সেদিন মালদ্বীপের বিপক্ষে নিশ্চিতভাবেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে চাইবেন কাবরেরা শিষ্যরা। গুরুর কষ্ট লাঘব করতে চাইবেন তপু বর্মণ-মিতুল মারমারা।</p>