<p style="text-align:justify">ভূটানের বিপক্ষে ম্যাচ এলেই ঘুরেফিরে সামনে চলে আসে ২০১৬ সালের দুঃস্বপ্নের সেই দিনটি। সেদিন এশিয়ান কাপ প্রাক-বাছাইয়ে স্বাগতিক ভুটানের কাছে হেরে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে ১৮ মাসের নির্বাসনে গিয়েছিল বাংলাদেশ ফুটবল দল। সেই ভুটানের মাটিতে এবার দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে গিয়েছেন জামাল ভূঁইয়া -তপুর বর্মনরা। মাঠের লড়াইয়ের আগে তাই আট বছর আগের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাও মনে রাখতে হচ্ছে ফুটবলারদের।</p> <p style="text-align:justify">সঙ্গে থিম্পু শহরের উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জও নিতে হচ্ছে হাভিয়ের কাবরেরার দলকে। ভুটানে এখন শীতকাল। বাংলাদেশের জন্য প্রতিকূল আবহাওয়াই বলা যায়। এমনিতে যথেষ্ট শীতের মধ্যে খেলে অভ্যাস নেই বাংলাদেশের ফুটবলারদের। তার ওপর সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৭ হাজার ফুট উচ্চতায় থিম্পু শহর, সব মিলিয়ে প্রতিকূলতার আরেকটি পাহাড়ও ডিঙাতে হবে বাংলাদেশকে।</p> <p style="text-align:justify">ভুটানে পৌঁছেই তাই উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার দিকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছেন কাবরেরা। অনেকটা দৌড়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে ফুটবলাররা হাইকিংয়ে অংশ নেন। আজ বাফুফের এক ভিডিও বার্তায় উচ্চতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার বিষয়টি বলেছেন অধিনায়ক জামাল,‘ অনুশীলন করে ভালোই লাগছে। উচ্চতার কারণে শ্বাস নিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে সবার। মানিয়ে নিতে আরো এক দুই দিন লাগবে। এখনো সেরা অবস্থায় আমরা নেই তবে ধীরে ধীরে আসতেছে।’</p> <p style="text-align:justify">৫ ও ৮ সেপ্টেম্বরের ম্যাচ দুটিই হবে টার্ফে। বাংলাদেশ দল সারা বছরই ঘাসের মাঠে খেলে অভ্যস্ত। অন্যদিকে বাংলাদেশের ফুটবলাররা যেখানে দুই মাস খেলার বাইরে ছিল, সেখানে ভুটানের খেলোয়াড়রা আছেন খেলার মধ্যে। ভুটানের প্রিমিয়ার লিগ চলছে। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নামার আগে জামাল বলেছেন,‘জানি, ভুটানে ফুটবল মৌসুমের মাঝামাঝি সময় চলছে। ওরা সবাই পুরোপুরি ফিট আছে। আমরা  কৌশল নিয়ে আলোচনা করেছি। কিভাবে ডিফেন্স এবং অ্যাটাক করতে হবে। ভুটানের ঘরের মাঠ হওয়ায় আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।’</p>