<p style="text-align:justify">সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম ম্যাচে জিতলেই সেমিফাইনাল নিশ্চিত। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে ম্যাচ শুরুর আগে এমনই সমীকরণ ছিল বাংলাদেশের জন্য। পরে সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি বাংলাদেশের যুবারা।</p> <p style="text-align:justify">শ্রীলঙ্কা ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে যুবাদের সাফে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে গোল দুটি করেছেন মিরাজুল ইসলাম ও পিয়াস আহমেদ নোভা। বাংলাদেশের জন্য সেমির সমীকরণটা সহজ করে দিয়েছিল প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কাই। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের কাছে হেরে গিয়ে। টানা দুই ম্যাচ হেরে বাড়ির টিকিট কেটেছে শ্রীলঙ্কার যুবারা।</p> <p style="text-align:justify">ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ করে শ্রীলঙ্কার ডিফেন্ডারদের ব্যতিব্যস্ত রাখা বাংলাদেশ ১৭ মিনিটে এগিয়ে যায়। বাংলাদেশ গোল উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন মিরাজুল। সতীর্থ রাব্বী হোসেন রাহুলের নিঁখুত পাসকে শুধু পথ দেখিয়েছেন মিরাজুল। গোর করার পর তার উদযাপনটা ছিল একটু ব্যতিক্রম। অনেকে যখন গোল করার পর পরিবারের কোনো সদস্য বা কোচকে উৎসর্গ করেন তখন বাংলাদেশি ফরোয়ার্ড ব্যতিক্রম উদাহরণ সৃষ্টি করলেন।</p> <p style="text-align:justify">বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত দুই শিক্ষার্থী আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধকে গোল উৎসর্গ করেছেন মিরাজুল। গোলের পর দুই শহীদের উদ্দেশে লেখা জার্সি পরেন তিনি। জার্সিতে লেখা ছিল, ‘মুগ্ধ এবং আবু সাঈদের স্মরণে, মনে রেখো যুদ্ধ করে রক্ত দিয়ে দেশ পেয়েছি?’</p> <p style="text-align:justify">প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতি শেষে ৭৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি রাজু আহমেদ জিসান। ডি বক্সে প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে একা পেয়েও ফিনিশিংটা করতে পারেননি তিনি। তবে ব্যবধান দ্বিগুণ করার হতাশা দ্রুতই কেটে যায়। ৮৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে শেষ পেরেক ঠুকে দেন পিয়াস।</p> <p style="text-align:justify">‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক নেপাল। আগামী ২২ আগস্ট যে দল জিতবে তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে।</p>