<p>প্রায়ই দেখা যায়, কেউ অসুস্থ হয়ে রক্তবমি করছেন। এটা দেখে বেশির ভাগ মানুষ ভড়কে যায়। ভয় পায়, ভাবে বুঝি ভয়ংকর কিছু ঘটবে। আসলেই কি তাই?</p> <p>আসলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পেট বা হজম প্রক্রিয়ার সমস্যার কারণে ঘটে। তবে আরো অনেক কারণ থাকতে পারে। সাধারণত পেটের আলসার, যকৃতের সমস্যা, খাদ্যনালি বা পাকস্থলীর ক্ষত বা গুরুতর আঘাতের কারণে রক্তবমি হতে পারে।</p> <p><strong>করণীয়</strong><br /> <strong>পেটের আলসার</strong><br /> পাকস্থলীতে ঘা তৈরি হলে সেখানে রক্তপাত হতে পারে, যা রক্তবমির কারণ হতে পারে।</p> <p><strong>যকৃতের রোগ</strong><br /> যকৃতের সমস্যা (যেমন সিরোসিস) হলে খাদ্যনালির শিরাগুলিতে চাপ বেড়ে যায় এবং রক্তক্ষরণ হয়।</p> <p><strong>খাদ্যনালি বা পাকস্থলীর ক্ষত</strong><br /> খাদ্যনালিতে ক্ষত বা কোনো প্রদাহ দেখা দিলে রক্তপাত হতে পারে।</p> <p><strong>গ্যাস্ট্রাইটিস</strong><br /> পাকস্থলীতে অতিরিক্ত এসিড বা প্রদাহের কারণে ক্ষত সৃষ্টি হলে রক্তবমি হতে পারে।</p> <p><strong>ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া</strong><br /> কিছু ওষুধ, বিশেষ করে ব্যথানাশক ওষুধ (যেমন অ্যাসপিরিন বা নন-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগ) পাকস্থলীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে রক্তপাতের কারণ হতে পারে।</p> <p><strong>করণীয়</strong><br /> <strong>শান্ত থাকুন এবং বসে পড়ুন</strong><br /> দাঁড়ানোর পরিবর্তে বসুন বা শুয়ে পড়ুন, কারণ রক্তবমির সময় মাথা ঘোরানোর সম্ভাবনা থাকে।</p> <p><strong>ঠাণ্ডা পানি পান করুন</strong><br /> ঠাণ্ডা পানি বা বরফ খেতে পারেন, যা পাকস্থলীর শিরাগুলোকে সঙ্কুচিত করতে সাহায্য করে।</p> <p><strong>বিশ্রাম নিন</strong><br /> কোনো ধরনের শারীরিক কাজ করবেন না এবং পূর্ণ বিশ্রাম নিন।</p> <p><strong>চিকিৎসকের পরামর্শ নিন</strong><br /> রক্তবমি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজন হলে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। </p> <p><strong>খাবারে সতর্কতা</strong><br /> ঝাল বা মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন এবং নরম, হালকা খাবার খান।</p> <p>রক্তবমি একটি গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। তাই দ্রুত চিকিৎসা করানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।</p>