<p>মহাকাশ মানে চরাচর জুড়ে ধুধু শূন্যতা। দূরে বহদূরে তারাদের ঝিকিমিকি, বাকিটা অন্ধকারের রাজত্ব। সেই অন্ধকারের বুকে নেই কোনো বস্তু, এমনকী বাতাসও।</p> <p>কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন মহাকাশে কেন বাতাস থাকে না?</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মানুষের দর্শন অনুভূতির স্থায়িত্ব ০.১ সেকেন্ড কেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/13/1728816718-34e1469980ebea62a1794cde9b89e3f6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মানুষের দর্শন অনুভূতির স্থায়িত্ব ০.১ সেকেন্ড কেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/13/1434717" target="_blank"> </a></div> </div> <p>বাতাস মূলত গ্যাসীকণার মিশ্রণ। যেমন, অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, কার্বন ডাই-অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্যাস। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে এই গ্যাসীয় কণাগুলো সুনির্দিষ্টভাবে জমা থাকে এবং আমাদের শ্বাস নিতে সাহায্য করে। তবে মহাকাশে এই ধরনের গ্যাস কণার ঘনত্ব অত্যন্ত কম। প্রায় নেই বললেই চলে। তাই সেখানে বাতাস বা বায়ুমণ্ডল থাকার প্রশ্নই ওঠে না।</p> <p>তারপরও এমন কী হতে পারত না, মহাকাশের অন্যকোনো অঞ্চল থেকে গ্যাসীয় উপদানগুলো উড়ে এসে বাতাস তৈরি করবে? </p> <p>সেটাও আসলে সম্ভব নয়, কারণ মহাকর্ষ বলের অনুপস্থিতি। আসলে মহাকার্ষ বল একেবারে অনুপস্থিত—এমন কোনো স্থান মহাবিশ্বে নেই। কারণ সূর্য, গ্রহদের মতো বড় বড় বস্তুদের অভাব নেই মহাকাশে। যেকোনো বস্তুর মহাকর্ষ বল অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত থাকে। কিন্তু মহাকর্ষ বল অতি দূর্বল। প্রভাব অসীম দূর পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও, একটা নির্দিষ্ট দূরের পর এর মান এতটাই কমে যায়, এরপরে মহাকর্ষ প্রায় নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় বলা চলে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বই পড়লে কি বুদ্ধি বাড়ে, বিজ্ঞান কী বলে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/10/1728559338-fa2d68a654296f5680e8c4d469b866db.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বই পড়লে কি বুদ্ধি বাড়ে, বিজ্ঞান কী বলে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/10/1433807" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পৃথিবীর ওপরে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের পর আর বায়ুমণ্ডলের অস্তিত্ব নেই। কারণ পৃথিবীর কাছাকাছি তুলনামূলক শক্তিশালী মহাকর্ষ বাযুমণ্ডলকে পৃথিবীর চারপাশে বেঁধে রাখে। যদি বাইরে থেকে কোনো গ্যাস এসে বায়ুমণ্ডলের বাইরের স্তরের জমা হতে চায়, তবু সেটা হয় না, কারণ পৃথিবীর মহকর্ষীয় টান একে পৃথিবীর আরও কাছে টেনে আনে। অন্যদিকে দুর্বল মহকর্ষীয় কারণে মহাশূনে গ্যাসীয় উপদানগুলো একত্রিত হতে পারে না। তাই সেখানে বাতাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায় না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="পৃথিবী কেন ঘুরছে?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/15/1728968875-c61c2049f35221e19871eac8849e47e0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>পৃথিবী কেন ঘুরছে?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/15/1435316" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মোট কথা হলো, বাতাস থাকার জন্য যে পরিবেশ দরকার, মহাশূন্যে তা নেই। তাই সেখানে গেলে আপনাকে শ্বাস নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত অক্সিজেন নিয়ে যেতে হবে।<br /> সূত্র: অল অ্যাবাউট স্পেস</p>