<p>নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় গড়াডোবা ইউনিয়নে গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ থেকে ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে। তবে ওই প্রতিষ্ঠান থেকে একজন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে একজনই পাস করেছে। তাও আবার ওই শিক্ষার্থী অনিয়মিত। </p> <p>এর সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.সাইফুল আলম বলেন, কলেজটি থেকে একজন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তিনিই পাস করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষকে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে শিক্ষার্থী বাড়ানোর জন্য জোর তাগিদ দেন তিনি। </p> <p>শিক্ষার্থী কেন কম এরকম প্রশ্ন করা হলে গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান বলেন, <br /> ২০২২ সালে কলেজ শাখায় একজন শিক্ষার্থীও ভর্তি হয়নি। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ভর্তি থাকলেও বিভিন্ন কাজে যুক্ত হয়ে অন্য জায়গায় চলে যায়। তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। ভবন সংকট ও অবকাঠামোগত কারণে এখানে কেউ ভর্তি হতে চায় না বলে তিনি মনে করেন। </p> <p>এব্যাপারে উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.কামরুজ্জামান খান সোহাগ বলেন, আমি প্রতিবছরই শিক্ষার্থী বাড়ানোর জন্য চেষ্টা করি। তবে প্রতিষ্ঠানটি তৃণমূলে অবস্থানসহ আশপাশে বেশ কিছু পুরাতন প্রতিষ্ঠান থাকায় শিক্ষার্থীরা এখানে কেউ ভর্তি হতে চান না। </p> <p>উল্লেখ্য, নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নে অবস্থিত গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত কোনো পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেনি। তবে গত বছর বাংলা বিষয়ে অকৃতকার্য এক অনিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। অবকাঠামো ও শিক্ষক থাকলেও ২০২২ সালে কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়নি কলেজটিতে। </p> <p>সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা যায়, ১৯৮৪ সালের ১ জানুয়ারি গড়াডোবা আব্দুল হামিদ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে তা উচ্চ মাধ্যমিক স্বীকৃতি পায়। ২০১৮ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটির উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আসছেন। গত বছর ২০২৩ সালে এ প্রতিষ্ঠান থেকে মাত্র ৯ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে পাস করেন মাত্র ৪ জন। অকৃতকার্যদের মধ্যে নেছার আহমেদ নামে একজন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী হিসেবে ২০২৪ সালে অংশ নেন। তবে নিয়মিত কোনো শিক্ষার্থী না থাকায় এবছর এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে কেউ অংশগ্রহণ করেননি।<br />  </p>