<p>কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবার (বালক) ও সামাজিক প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (নারী) থেকে দুজন শিক্ষার্থী নিখোঁজের ১৫ দিন পার হলেও সন্ধান পাওয়া যায়নি। গত ২ নভেম্বর সরকারি শিশু পরিবার (বালক) থেকে রায়হান হোসেন রিজভি (১২) ও ১২ নভেম্বর সামাজিক প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (নারী) থেকে আমেনা খাতুন (১২) নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় দুটি জিডি করলেও পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে পারেনি। ঘটনা তদন্তে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।</p> <p>খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি শিশু পরিবার থেকে নিখোঁজ রিজভির স্কুল ব্যাগ খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস থেকে পুলিশ উদ্ধার করলেও তার হদিস পাওয়া যায়নি। রিজভির বাড়ি রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায়। খোঁজ নিয়েও সেখানে তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। শিশু পরিবারের বিভিন্ন সূত্র জানায়, খাবার কম দেওয়াসহ নানা অনিয়মের বিষয়ে কথা বলায় শিশু পরিবারের তত্ত্বাবধায়ক ইলিয়াস হোসেন এবং উপতত্ত্বাবধায়ক আসাদুজ্জামান রিজভিকে প্রায়ই মারধরসহ নানা নির্যাতন করতেন। তার সহপাঠীরা বলছে, সম্ভবত এসব কারণেই রিজভি পালিয়েছে। অন্যদিকে সামাজিক প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে নিখোঁজ তরুণী আমেনা খাতুনও কর্তৃপক্ষের নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করায় তাদের রোষানলে পড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।</p> <p>এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক আব্দুল লতিফ শেখ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি। অনিয়ম-দুর্নীতি ও নির্যাতনের অভিযোগটিও তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’</p> <p> </p>