<p>আলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণা আকারে নির্গত ও শোষিত হয়। সেই কণাগুলোকে ফোটন বলে। এমনটাই দেখিয়েছিলেন প্ল্যাঙ্ক এবং আইনস্টাইন। কিন্তু এর প্রায় একশ বছর আগে ব্রিটিশ পদার্থবিদ থমাস ইয়াং পরীক্ষা করে দেখিয়েছিলেন আলো এক প্রকার তরঙ্গ। যা ইয়াংয়ের ডবল স্লিট এক্সপেরিমেন্ট বা দ্বি-চিড় পরীক্ষা নামে পরিচিত। দুটো ছিদ্র দিয়ে আলো প্রবেশ করে একটা পর্দায় পড়ে, তাহলে কী দেখা যাবে?</p> <p>আলো যদি কণা হয়, সেক্ষেত্রে পর্দায় দুটো উজ্জ্বল আলোক বিন্দু দেখতে পাওয়ার কথা। কারণ কণা বাঁকা পথে চলতে পারে না, সরলরেখায় চলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সবকিছুই আসলে তরঙ্গ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/04/1728029383-bc24a1f11f40e334f859b63c4ede18b2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সবকিছুই আসলে তরঙ্গ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/04/1431722" target="_blank"> </a></div> </div> <p>কিন্তু ইয়াং ফল পেলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন। পর্দায় শুধু দুটো উজ্জ্বল আলোকবিন্দুই তৈরি হয়নি, প্রতিটা উজ্জ্বল বিন্দুর পাশে একটা করে অন্ধকার বিন্দুও তৈরি হয়েছে। এভাবে পর্দার ওপর অনেকগুলো উজ্জ্বল ও অন্ধকার বিন্দুর পট্টি তৈরি হয়। যা কেবল তরঙ্গের ক্ষেত্রেই ঘটা সম্ভব।</p> <p>অর্থাৎ, আলো ছড়িয়ে পড়ে তরঙ্গের মতো, কিন্তু আচরণ করে কণার মতো। একই ঘটনা পদার্থের ক্ষেত্রেও ঘটে। ফোটনের বদলে ইলেকট্রন ব্যবহার করলেও একই ফলাফল পাওয়া যাবে। ইলেকট্রন দুটোর বদলে একটা ছিদ্র দিয়ে প্রবেশ করালেও অপবর্তন পট্টি তৈরি হবে। এই পরীক্ষাকে বলা হয় কোয়ান্টাম ডবল স্লিট। শুরুতে এটা কেবলই অনুকল্প বা ‘হাইপোথেসিস’ ছিল। পরবর্তীতে পরীক্ষাগারে বহুবার প্রমাণ হয়। রিচার্ড ফাইনম্যান এই পরীক্ষাকে ‘দ্য হার্ট অব কোয়ান্টাম মেকানিকস’ বলে বর্ণনা করেছেন।</p> <figure class="image"><img alt="একমাত্র তরঙ্গই ডবল স্লিট বা দুই ছিদ্র পরীক্ষায় অপবর্তন পট্টি তৈরি করতে সক্ষম।" height="1500" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/10/05/my1182/১৩.jpg" width="600" /> <figcaption>একমাত্র তরঙ্গই ডবল স্লিট বা দুই ছিদ্র পরীক্ষায় অপবর্তন পট্টি তৈরি করতে সক্ষম।</figcaption> </figure> <p>তরঙ্গের মতো কণারও ডবল স্লিট বা দ্বি-চিড় পরীক্ষা রয়েছে। যা ইলেকট্রনের তরঙ্গ ও কণা— দ্বৈত আচরণ প্রমাণ করে।<br /> মজার বিষয়— ধরুন দ্বি-চিড় পরীক্ষায় আপনি নির্দিষ্ট একটি ফোটন কোন ছিদ্র দিয়ে এসেছে তা জানতে চান। এ উদ্দেশ্যে যদি আলোর পথে একটা নির্দেশক বসিয়ে দেন, তখন সেই মুহূর্তে আলো-অন্ধকারের পট্টিগুলো হারিয়ে যাবে। আলো তখন কণার মতো আচরণ শুরু করবে। অর্থাৎ আলো কখন কোন ধর্ম প্রদর্শন করবে, তা আগে থেকেই নির্ধারিত নয়। এটা নির্ভর করে কেবলই পর্যবেক্ষকের ওপর। ইংরেজ পদার্থবিদ জন হুইলারের 'ডিলেইড চয়েস' পরীক্ষায় এই ধারণা স্পষ্ট হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/02/1727863192-b228070f579c2b28304c5f41ec5a34ae.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইলেকট্রনের অদ্ভুত লাফ : শেষ পর্ব</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/10/02/1431072" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> তরঙ্গ-কণা দ্বৈত ধর্ম<br /> তরঙ্গ ফাংশনের ভাঙন<br /> আলোর বিভাজক<br /> কোয়ান্টাম অপটিক্‌স</p> <p><strong>বিজ্ঞানী<br /> টমাস ইয়াং</strong><br /> ১৭৭৩-১৮২৯<br /> ইংরেজ বহুবিদ্যাবিশারদ, বিখ্যাত ডবল স্লিট পরীক্ষার প্রবর্তক।</p> <p><strong>রিচার্ড ফাইনম্যান</strong><br /> ১৯১৮-৮৮<br /> নোবেল জয়ী মার্কিন তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, পদার্থবিজ্ঞানের সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষক।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> অ্যান্ড্রু মে</p>