<p>প্রিয় পাঠক, আমরা পিরামিড আর স্টোনহেঞ্জের অধ্যায়ে দেখেছি পাথর পরিবহন ও ওপরে তোলার পদ্ধতি। তাই ওই ব্যাখ্যায় আমরা যাব না। আমরা শুধু জেসাপের ধারণাটা জানব।</p> <p>জেসাপ হিসাব কষে দেখলেন, ইনকাদের পক্ষে কোনোভাবেই এসব তৈরি করা সম্ভব নয়। তাহলে কারা বানাল?</p> <p><a href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/09/10/1424084"><span style="color:#2980b9">আরো পড়ুন : ফিলাডেলফিয়া রহস্য : পর্ব ৩</span></a></p> <p>এখানেই তার মতিভ্রম হলো, তিনি আরকিওলজিস্ট নন, হলে সেই দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখতেন। দলে বড় বড় আর্কিওলজিস্ট ছিল, তাদের মতামত না শুনেই নিজের মতো করে একটা ব্যাখ্যা দাঁড় করালেন। বললেন প্রাচীনকালে কোনো স্পেসশিপ এসেছিল, অতি বুদ্ধিমান কোনো ভিনগ্রহীরা নিয়ে এসেছিল স্পেসশিপ। তারাই তৈরি করেছিল এসব ইনকা স্থাপনা। তাদের জন্য বিশাল সব স্পেশশিপে চাপিয়ে ভারী ভারী পাথর পরিবহন কোনো ব্যাপার নয়।</p> <p>কোনো প্রমাণ নেই, জাস্ট নিজের মনে আসা ভাবনায় ভর করেই জেসাপ এই সিদ্ধান্তে এসেছিলেন। তিনি যাদের সঙ্গে সেই অভিযানে গিয়েছিলেন, সেই গবেষক দলের আর্কিওলজিস্টরা কিন্তু মানতে পারেননি জেসাপের তত্ত্ব। তারা বিরক্ত হয়েছিলেন। সুতরাং তার ক্যারিয়ার বিপন্ন হয়ে পড়ে।</p> <p>সেই অভিযান থেকে দেশে ফিরে, ভিনগ্রহীদের অস্তিত্ব নিয়ে উঠেপড়ে লাগলেন জেসাপ। তিনি মেক্সিকোতে কিছু ক্রেটার বা খাদ দেখেছিলেন, যেগুলো দেখতে অগ্নিগিরির জ্বালামুখের মতো। এই জ্বালামুখের সঙ্গে চাঁদের জ্বালামুখের মিল আছে। জেসাপ সিদ্ধান্তে এলেন এগুলো ভিনগ্রহীদের স্পেসশিপের কারণেই তৈরি হয়ে হয়েছে। তিনির নিজের তত্ত্বের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। কিন্তু প্রমাণ তো করতে হবে। এর জন্য করতে হবে আরো গবেষণা। বিজ্ঞানীদের পাশে পাবেন না, সেটা বুঝে গেছেন। তার এই আজগুবি তত্ত্ব আর গবেষণার পেছনে মার্কিন সরকার কোনো অর্থ ঢালবে না, তা-ও তিনি নিশ্চিত। তাই নিজেই নিজের অর্থ জোগাড়ের চেষ্টা করলেন। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, আর কোনো গবেষকদলে তাকে ফটোগ্রাফারের কাজ দেওয়া হবে না। তাই অর্থ জোগাড়ের জন্য অন্য পন্থা অবলম্বন করতে হবে। একটা বই লিখবেন। সেই বইয়ের রয়্যালিটি দিয়েই করবেন পরবর্তী গবেষণা।</p> <p> ১৯৪০-৫০-এর দশক। যুক্তরাষ্ট্র তখন ইউএফও জ্বরে ভুগছে। একটা রহস্যময় কোনো ঘটনা ঘটলেই সেখানে ইউএফও এবং এলিয়েনের জোগসাজশ খোঁজার চেষ্টা করে লোকে। লেখা হয় বই। সে সময় জেসাপও এ রকম একটা বই লেখার কথা ভাবলেন। বইটার নাম ঠিক করলেন দ্য কেস ফর দ্য ইউএফও : আনআইডেন্টিফাইং ফ্লাইং অবজেক্ট।</p> <p>চলবে...<br /> সূত্র : অল অ্যাবাউট হিস্ট্রি</p>