<p>ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি) হলো দীর্ঘমেয়াদি কিডনির সমস্যা। এতে আক্রান্ত কিডনি ধীরে ধীরে তার কার্যক্ষমতা হারায়। সময়মতো চিকিৎসা না করলে এটি জীবনঘাতী হয়ে উঠতে পারে। সিকেডির ১০টি প্রধান কারণ এবং প্রতিকারের সহজ উপায় জানার চেষ্টা করি।</p> <p><strong>ডায়াবেটিস</strong><br /> রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে কিডনির ক্ষতি হয়, অর্থাৎ ডায়াবেটিস সিকেডির অন্যতম কারণ।  রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নিয়মিত খাবার ও ব্যায়ামে অভ্যস্ত হন। চিনি ও উচ্চ শর্কারাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>উচ্চ রক্তচাপ</strong><br /> রক্তচাপ বেশি হলে কিডনির রক্তনালি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে সিকেডির আশঙ্কা বাড়ে। তাই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন। লবন কম খান, নিয়মিত রক্তচাপ মাপুন। অতিরিক্ত তেল-চর্বিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>ইনফেকশন</strong><br /> বারবার কিডনি সংক্রমণে স্থায়ী ক্ষতি করে। তাই জীবাণুদের রুখতে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। নইলে শরীরের টক্সিন কিডনিতে জমা হবে। ইনফেকশনের আশঙ্কা তত বাড়বে। ইনফেকশন হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন।</p> <p><strong>জেনেটিক সমস্যা</strong><br /> পরিবারের ইতিহাস থাকলে সিকেডির ঝুঁকি বাঁড়ে। তাই বংশে সিকেডির ইতিহাস থাকলে নিয়মিত চেকআপ করুন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন বজায় রাখুন।</p> <p><strong>ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার</strong><br /> কিছু ব্যথানাশক বা অপ্রয়োজনীয় ওষুধ কিডনির ক্ষতি করে। শুধু চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খান। অতি প্রয়োজন ছাড়া ব্যথানাশক এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>ইউরিনারি ব্লকেজ</strong><br /> মূত্রনালিতে বাধা কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটায়। মূত্রথলিতে পাথর হলে কিডনি ব্লকেজ হতে পারে। ফলে বাড়তে পারে সিকেডির আশঙ্কা। মূত্রনালির সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন, প্রয়োজনে সার্জারি করান।</p> <p><strong>পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ </strong><br /> কিডনিতে থলি জাতীয় কিছু গঠন হলে কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়। জেনেটিক কাউন্সেলিং করুন। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।</p> <p><strong>ডায়ালাইসিসে দেরি</strong><br /> কিডনি কাজ করা বন্ধ করলে ডায়ালাইসিসে দেরি করা বিপজ্জনক। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী কিডনি ডায়ালাইসিস বা প্রতিস্থাপন করুন।</p> <p><strong>কিডনি ক্যানসার</strong><br /> কিডনিতে টিউমার বা ক্যানসার হতে পারে। ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে জানুন, সেগুলোেএড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত ধূমপান কিডনির ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তাই ধূমপান ত্যাগ করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্যানসারের চিকিৎসা নিন।</p> <p><strong>অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন</strong><br /> অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অনিয়ন্ত্রিত জীবন কিডনির ক্ষতি করে। স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করুন, পর্যাপ্ত পানি পান করুন এবং নিয়মিত ব্যায়াম করুন।</p> <p><strong>সাধারণ পরামর্শ </strong></p> <ul> <li>নিয়মিত কিডনির পরীক্ষা করান।</li> <li>পরিমিত লবণ ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খান।</li> <li>ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন।</li> <li>পর্যাপ্ত পানি পান করুন।</li> </ul> <p>সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিন। আপনার কিডনির যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন!</p> <p>সূত্র : মায়ো ক্লিনিক ও ন্যাশনাল কিডনি ফাউন্ডেশন<br />  </p>