<p style="text-align:justify">গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স শিশুদের একটি সাধারণ সমস্যা। এর প্রধান উপসর্গ খাওয়ানোর পরপরই শিশুর বমি। এটি সচরাচর ঘটে থাকে ছোট ইনফ্যান্ট শিশুর ক্ষেত্রে। ছোট ইনফ্যান্ট শিশুকে খাওয়ানোর পর খাবার বের করে দেওয়া হতে পারে সামান্য ধরনের; যেমন—গালের কোনা বেয়ে বুকের দুধ বেরিয়ে আসা, যাকে বলা হয় ‘দুধ উঠে আসা’। হতে পারে জোরের সঙ্গে বমি।</p> <p style="text-align:justify"><strong>উপসর্গ</strong></p> <p style="text-align:justify">কোনো কোনো শিশু নিউমোনিয়া (এসপিরেশন নিউমোনিয়া), ক্রনিক কাশি, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমাজাতীয় উপসর্গ নিয়েও হাজির হয়। খাবার গিলতে অসুবিধা, খাওয়ানোর পর পেটে শুলবেদনা, খাওয়ানোর পর ওগরানো, কখনো বা শ্বাসরোধ অবস্থা এই অসুখের উপসর্গ ও জটিলতারূপে দেখা দিতে পারে।</p> <p style="text-align:justify"><strong>জটিলতা</strong></p> <p style="text-align:justify">সাধারণভাবে এ অসুখে শিশুর তেমন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবু মারাত্মক রকমের রিফ্লাক্স বেশ কিছু জটিলতা তৈরি করতে পারে। যেমন—শিশু ঠিকমতো বাড়ে না, খাদ্যনালিতে প্রদাহজনিত রক্তবমি, পায়খানায় রক্তক্ষরণ, শিশুর রক্তাল্প্লতা ইত্যাদি। </p> <p style="text-align:justify"><strong>চিকিৎসা</strong></p> <p style="text-align:justify">* বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগ নির্ণয় হয় ক্লিনিক্যালি। কিছু ল্যাবরেটরি পরীক্ষার সাহায্যও নেওয়া হতে পারে। এই অসুখে ভোগা শিশু ছয় থেকে ১২ মাস বয়সের মধ্যে ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রে আপনা-আপনি সেরে ওঠে—বিশেষত শিশু যখন বসতে পারে এবং তার খাবার গ্রহণের সামর্থ্য যখন ধীরে ধীরে আধাতরল ছাড়িয়ে শক্ত খাবারে পরিণত হয়।</p> <p style="text-align:justify">* খাওয়ানোর পরপর খাবার বের হয়ে যাওয়ার উপসর্গ কমাতে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যেমন—শিশুকে খাবার ঘন করে অল্প পরিমাণে বারে বারে পরিবেশন করা এবং শিশুকে কিছুটা উপুড় করে রাখার পজিশনে ধরে রাখা।</p> <p style="text-align:justify">* ওষুধ ও অন্যান্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।</p> <p style="text-align:justify"> </p> <p style="text-align:justify"><strong>পরামর্শ দিয়েছেন </strong></p> <p style="text-align:justify">প্রফেসর ডা. প্রণব কুমার চৌধুরী</p> <p style="text-align:justify">সাবেক বিভাগীয় প্রধান, শিশুস্বাস্থ্য বিভাগ</p> <p style="text-align:justify">চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল</p>