<p style="text-align:justify">২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ছয় বছরে বিনা মূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২০২৩ সালে ২৬৯ কোটি টাকার অনিয়ম পেয়েছে বাংলাদেশ মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অধীন শিক্ষা অডিট অধিদপ্তর। আওয়ামী শাসনামলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) যেসব কর্মকর্তা নিম্নমানের পাঠ্যপুস্তক ছাপার কাজে সহায়তা করেছেন, তাঁদের নিয়েই গঠন করা হয়েছে দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি।</p> <p style="text-align:justify">পাঠ্য পুস্তক ছাপায় দুর্নীতির শ্বেতপত্র তৈরি করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ২৪ অক্টোবর পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে এনসিটিবি। এ ছাড়া এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে আরো চার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন। যদিও অভিযোগ রয়েছে, আওয়ামী শাসনামলে যাঁরা দুর্নীতি করেছেন, তাঁদের নিয়েই এনসিটিবির দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে এনসিটিবির প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা প্রফেসর মো. নজরুল ইসলামকে। সদস্য করা হয়েছে উৎপাদন নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মোহাম্মদ আবু নাসের টুকু, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ (প্রাথমিক) মো. আব্দুল মুমিন মোছাব্বির, বিতরণ নিয়ন্ত্রক মো. হাফিজুর রহমানকে। এ ছাড়া সদস্যসচিব হিসেবে আছেন বিশেষজ্ঞ (মাধ্যমিক) মীর রাহাত মাসুম।</p> <p style="text-align:justify">এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করতে এনসিটিবির যে চার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন, এনসিটিবির ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) সাইফা সুলতানা, গবেষণা কর্মকর্তা (প্রাথমিক শিক্ষাক্রম) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ (মাধ্যমিক) ড. প্রবীর চন্দ্র রায়, গবেষণা কর্মকর্তা (মাধ্যমিক) শাহ মো. জুলফিকার রহমান। যিনি এই কমিটি গঠনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেছেন তিনি এনসিটিবির সচিব শাহ মুহাম্মদ ফিরোজ আল ফেরদৌস। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এনসিটিবিতে উপসচিব (প্রশাসন) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।</p> <p style="text-align:justify">সার্বিক বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি একটি রিপোর্ট দিয়েছে। আমরা সেই রিপোর্ট ধরে দেখব, কোথায় কোথায় অনিয়ম হয়েছে। আমরা যাঁরা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এনসিটিবিতে এসেছি, তাঁদের কারো অনিয়মের ব্যাপারে গাফিলতি করার সুযোগ নেই। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত নতুন মুদ্রাকর তৈরি না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত পুরনোদের দিয়েই মুদ্রণের কাজ করাতে হচ্ছে। শুধু এটুকু বলতে পারি, এবার বইয়ের মানের ব্যাপারে আমাদের জিরো টলারেন্স থাকবে।’</p>