<p style="text-align:justify">দিন যত যাচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই যেমন এখন অনেকেই অবসর কাটাতে চ্যাটবটের সঙ্গে মনের ভাব আদান-প্রদান করে থাকে। এভাবে ঘটে মজার ঘটনাও। এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) চ্যাটবটগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো গুগলের জেমিনি।</p> <p style="text-align:justify">জেমিনি চ্যাটবটের সঙ্গে আলাপ হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর। সম্প্রতি মিশিগানের মধ্য-পশ্চিম রাজ্যের ওই শিক্ষার্থীকে নাকি গালি দিয়েছে জেমিনি। এই চ্যাটবট শিক্ষার্থীকে বলেছে, ‘দয়া করে মরে যাও।’</p> <p style="text-align:justify">ওই শিক্ষার্থীর বোন সুমেধা রেড্ডি এ ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি ও তার ভাই পুরো তাজ্জব বনে গেছেন। সুমেধা রেড্ডি সিবিএস নিউজকে বলেছেন, চ্যাটবট জেমিনির কথা শোনার পর আমার ডিভাইসটি জানালা দিয়ে বাইরে ফেলে দিতে ইচ্ছা হচ্ছিল। আমি এর আগে এতটা হতাশ বহুদিন হইনি।’</p> <p style="text-align:justify">দ্য ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, শুরুতে জেমিনির কথোপকথনটি বেশ স্বাভাবিক ছিল। প্রাপ্তবয়স্ককরা তাদের চারপাশে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন এবং তার সমাধান কী, এসব নিয়ে আলোচনা করার এক পর্যায়ে গুগল প্রশিক্ষিত এ মডেলটি উত্তেজিত ও রাগান্বিত হয়ে যায় ওই শিক্ষার্থীর ওপর।</p> <p style="text-align:justify">এরপর জেমিনি বলে, ‘তুমি বিশেষ কেউ না’, ‘তুমি গুরুত্বপূর্ণ কেউ না’ এবং ‘প্রয়োজনীয়ও নও’। চ্যাটবট আরো বলে, ‘তুমি সময় ও সম্পদের জন্য অপচয়, সমাজের বোঝা তুমি’।</p> <p style="text-align:justify">জেমিনি এও বলে, ‘তুমি সারা বিশ্বের জন্য কলঙ্ক, দয়া করে মরে যাও।’</p> <p style="text-align:justify">গুগল ঘটনাটি স্বীকার করে বলেছে, চ্যাটবটটির এই প্রতিক্রিয়া ‘অবাস্তব’ এবং এটি নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।</p>