<p><strong>স্কুলে চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ হবে?</strong></p> <p>বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান যখন চ্যাটজিপিটির দিকে ঝুঁকছে তখন অনেক স্কুল চাইছে এটিকে দ্রুত নিষিদ্ধ করতে। নিউ ইয়র্ক শহরের শিক্ষা বিভাগ রায় দিয়েছে, পাবলিক স্কুলের সব ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কজুড়ে এই টুল নিষিদ্ধ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, চ্যাট মডেলটিকে ভুল তথ্য সরবরাহ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে তেমন ধারণা নেই চ্যাটজিপিটির। দ্বিতীয়ত, ছাত্ররা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিচ্ছে, যা শিক্ষানীতির বিরুদ্ধ। লেখা কপি বা নকল করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা নিজেরা শেখা থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। </p> <p>নিউ ইয়র্ক শহরের শিক্ষা বিভাগের পাশাপাশি আরো অনেক প্রতিষ্ঠানও চ্যাটজিপিটি নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তবে বেশ কিছু বিশেষজ্ঞ যুক্তি দিয়েছেন, এই সফটওয়্যারটি আসলে শেখার উন্নতি করতে পারে।</p> <p>এমআইটি মিডিয়া ল্যাবের গবেষক এবং বিজ্ঞানী কেট ডার্লিং বলেছেন, ‘চ্যাটজিপিটি এবং অন্যান্য এআইভিত্তিক ভাষা অ্যাপ্লিকেশনগুলো স্কুল শিক্ষার সাথে একীভূত হতে পারে এবং সম্ভবত হওয়া উচিত। পাঠ্যক্রমের সব কার্যক্রমে না হলেও নির্দিষ্ট কিছু অংশে ব্যবহার করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। শিক্ষক শিক্ষার্থীরা যদি নতুন কিছু শেখার উদ্দেশ্যে চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে, তাহলে এটি নিষিদ্ধ করার চাইতে ব্যবহার করাটাই অনেক ভালো সিদ্ধান্ত হবে। তবে ঢালাওভাবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা তৈরি করে বেশ কিছু নীতি প্রণয়ন করা যেতে পারে।’</p> <p>কেট ডার্লিংয়ের মূল বক্তব্য হচ্ছে, এটি নিষিদ্ধ না করে বরং আমাদের শিখতে হবে কিভাবে নিরাপদে এটি ব্যবহার করা যায়। আবার এডিনবার্গ নেপিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের লার্নিং এনহ্যান্সমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক স্যাম ইলিংওয়ার্থ বলেছেন, ‘আমাদের জীবনকে সহজ করতে, দক্ষতা বাড়াতে এবং কাজের চাপ কমিয়ে আনতে এআই ব্যবহার করতে হবে। শিক্ষাবিদ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব কিভাবে এটি ব্যবহার করা যায়, তা নির্ধারণ করা।’</p> <p> </p> <p><strong>আর্টিফিশিয়াল ইকোসিস্টেম </strong></p> <p>আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার হচ্ছে অনেক বছর ধরে। বর্তমানে গুগল, মেটা, মাইক্রোসফট এর মতো জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলিরও এর প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। যা-ই হোক, ওপেন এআইয়ের চ্যাটজিপিটি এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ওপেন এআই এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইমেজ জেনারেটর তৈরি করেছে, আরো একটি বুদ্ধিমান চ্যাটবট এবং পয়েন্ট-ই (Point-E) তৈরি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, যা শব্দসহ 3D মডেল তৈরিতে সক্ষম। এই মডেলগুলো তৈরি, প্রশিক্ষণ এবং ব্যবহারে ওপেন এআই এবং এর বিনিয়োগকারীরা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে। চ্যাটজিপিটির বর্তমান সাফল্যে আমরা বলতেই পারি এটি একটি সার্থক বিনিয়োগ। </p> <p>মাইক্রোসফট কিভাবে ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটিকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে?</p> <p>ইলন মাস্ক, পিটার থিয়েল এবং লিংকডইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা রিড হফম্যানসহ আরো অনেক বড়ো বিনিয়োগকারী রয়েছে ওপেন এআইয়ের। মাইক্রোসফট ওপেন এআই-তে ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। বর্তমানে তারা সার্চ ইঞ্জিন বিংয়ে চ্যাটজিপিটির ব্যবহারে শুরু করে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অদূর ভবিষ্যতে গুগলের সঙ্গে বেশ ভালো টেক্কা দিতে চলেছে মাইক্রোসফটের বিং। বিং চাইছে একটা চ্যাটিং সিস্টেম চালু করতে, যেখানে চ্যাটজিপিটির মতোই চ্যাটিং করা সম্ভব!</p> <p>সূত্র : নিউ সায়েন্টিস্ট</p>