<p>উগান্ডায় ২১ বছর বয়সী এক টিকটকারকে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইয়োওয়েরি মুসেভেনিকে অপমান করার অভিযোগে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত এমানুয়েল নাবুগোডি সোমবার আদালতে উপস্থিত হন। তিনি গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে ঘৃণা ছড়ানো ও ক্ষতিকারক তথ্য প্রচারের চারটি অভিযোগের দোষ স্বীকার করেন। পরে তাকে ৩২ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। </p> <p>নাবুগোডি মূলত তার ২০ হাজার অনুসারীর জন্য কৌতুক ভিডিও বানান। তিনি একটি ভিডিওতে মুসেভেনির একটি মক ট্রায়াল দেখান, যেখানে তিনি প্রেসিডেন্টকে প্রকাশ্যে প্রহারের আহ্বান জানান। তিনি রায় হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে এর বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন। </p> <p>এর আগে চলতি বছরের জুলাইতে এডওয়ার্ড আওয়েবওয়াকে একই ধরনের অভিযোগে ছয় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগটিও টিকটক পোস্ট সম্পর্কিত। আরো তিনজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ ধরনের বিষয়বস্তুর জন্য বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। </p> <p>নাবুগোডির রায় প্রদানকালে এনটেবে শহরের আদালতের প্রধান বিচারক স্টেলাহ মেরিস আমাবিলিস জানান, আসামি কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি এবং এই রায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্টসহ অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আক্রমণ বন্ধে সাহায্য করবে। </p> <p>তিনি আরো বলেন, ‘আদালত আশা করেন, আসামি কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় শিখবেন, কন্টেন্ট তৈরির নামে মানুষকে অপমান করা একটি খারাপ কাজ।’</p> <p>নাবুগোডিকে ২০২২ সালের সংশোধিত কম্পিউটার অপব্যবহার আইনের অধীনে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। এই আইনে কম্পিউটারের মাধ্যমে এমন কোনো তথ্য লেখা, প্রেরণ বা শেয়ার করা নিষিদ্ধ, যা কাউকে অপমান, হেয় বা অসম্মান করতে পারে। </p> <p>২০২২ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত উগান্ডার লেখক কাকওয়েনজা রুকিরাবাশাইজা প্রেসিডেন্ট ও তার ছেলের সম্পর্কে এক্সে বিরূপ মন্তব্য করার জন্য ‘আপত্তিকর যোগাযোগের’ দুটি অভিযোগে অভিযুক্ত হন। তিনি এক মাস কারাগারে থাকার পর জার্মানিতে পালিয়ে যান। কারাগারে তিনি নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ করেছিলেন।</p> <p>এদিকে মানবাধিকার সংগঠনগুলো প্রায়ই উগান্ডায় বাকস্বাধীনতার ওপর বিধি-নিষেধ নিয়ে অভিযোগ করে। তাদের দাবি, ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট সমালোচনা সহ্য করেন না। গত বছর উগান্ডার মানবাধিকার প্রতিবেদনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উল্লেখ করেছিল, ‘এই আইনটি ব্যবহার করে সরকার সমালোচনা বন্ধ করতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভয় দেখায়।’</p> <p>সূত্র : বিবিসি</p>