<p>রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৪০তম এসআই ক্যাডেট ব্যাচের আরো তিন প্রশিক্ষণার্থীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন একাডেমির দায়িত্বরত এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর।</p> <p>তিনি বলেন, ‘আজই তাদের অব্যাহতিপত্র দেওয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণ মাঠে শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপারে যথাযথ জবাব দিতে না পারার কারণে তাদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="৫৬ মিয়ানমার নাগরিকের অনুপ্রবেশ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731943535-be71e3e5a8088e86772312c0c7f57ce4.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>৫৬ মিয়ানমার নাগরিকের অনুপ্রবেশ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/18/1448109" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এর আগে গত ২১ অক্টোবর ৪০তম এসআই ক্যাডেট ব্যাচের প্রশিক্ষণরত ২৫২ জন ও ৪ নভেম্বর একই ব্যাচের আরো ৫৮ জন ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এদের বিরুদ্ধে নাশতা না খেয়ে মাঠে হইচই করা এবং প্রশিক্ষণ চলাকালে অমনোযোগী থাকার অভিযোগ আনা হয়। সব মিলিয়ে এই ব্যাচের ৩১৩ জন প্রশিক্ষণার্থী এসআইকে অব্যহতি দেওয়া হলো।</p> <p>সোমবার সর্বশেষ অব্যাহতি পাওয়া তিনজনকে গত ১৩ নভেম্বর শোকজ করা হয়েছিল। ‘কৈফিয়ত তলবনামা’ শিরোনামের ওই চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘গত ১২ নভেম্বর জিমনেসিয়ামে ক্যাডেট এসআইদের রাত্রিকালীন কম্বাইন্ড ক্লাস ছিল। ওই ক্লাসে যাওয়ার সময় কম্পানির সিএই যথাসময়ে ফলইন করিয়ে রওনা করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর আপনি মূল দল থেকে আলাদা হয়ে যান। আপনাকে বারবার দলের সাথে মিলে সঠিকভাবে মার্চিং করে যেতে বললেও আপনি কম্পানির সিএইচএম এর কথা না শুনে কমান্ড অমান্য করে সঠিকভাবে মার্চিং না করে উচ্চস্বরে হইচই করতে থাকেন। এই ধরনের শৃঙ্খলাবিরোধী আচরণ বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির নিয়ম শৃঙ্খলার পরিপন্থী মর্মে কম্পানি সিএইচএম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেন। তাই আপনাকে কেন চলমান মৌলিক প্রশিক্ষণ হতে অব্যাহতি প্রদান করা হবে না তার সন্তোষজনক ব্যাখ্যা কৈফিয়ত তলবনামা প্রাপ্তির পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে দাখিলের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="চাকরি ফিরে পেলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731943328-8e36ad7c34b8c69d4324f542d11f6edd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>চাকরি ফিরে পেলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/11/18/1448106" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তবে যে কারণ দেখিয়ে কৈফিয়ত তলব করা হয় সে রকম কোন ঘটনা মাঠে ঘটেনি বলে দাবি করেছেন অব্যাহতি পাওয়া এক ক্যাডেট এসআই। তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগে আমাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে সেদিন এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। অভিযোগের বিষয়ে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না সারদা কর্তৃপক্ষ। আমাদের অন্যায়ভাবে অব্যহতি দেওয়া হলো।’</p>