<p>চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও থানায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এর আগে বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে মিছিলে অংশ নেন অন্তত কয়েক শ নারী-পুরুষ। গত রবিবার গভীর রাতে উপজেলার চির্কা গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী আসমা আক্তারের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।</p> <p>প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বুধবার দুপুরে একটি বিক্ষোভ মিছিল চরমথুরা ও আশপাশের গ্রাম থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পায়ে হেঁটে কয়েক শ নারী-পুরুষ ফরিদগঞ্জ বাজারে প্রবেশ করে। মিছিলকারী স্লোগান দেন ‘খুনি কেন বাইরে, থানা পুলিশ কি করে। আমার বোন মরল কেন, জবাব চাই জবাব চাই। খুনিদের গ্রেপ্তার কর, করতে হবে। আসমাকে ধর্ষণকারীর, বিচার চাই করতে হবে’ ইত্যাদি। মিছিলকারীরা ফরিদগঞ্জ শহীদ মিনারের সামনে প্রায় এক ঘণ্টা মানববন্ধনে অংশ নেন। এসময় সেখানে বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, চরমথুরা গ্রামের আসমাকে বিয়ে দেয়া হয় পার্শ্ববর্তী চির্কা গ্রামের হানিফ রাঢ়ীর ছেলে মালয়েশিয়া প্রবাসী মাসুমের কাছে। তাদের দেড় বছরের একজন কন্যা সন্তান রয়েছে। </p> <p>গত ৩ নভেম্বর রবিবার ভোর ৪টায় স্বামীর বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনে আসমার মা নাজমা বেগমকে বলা হয় আসমা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এতে, আসমার মা, ভাইসহ বাড়ির অন্যরা ওই বাড়িতে ছুটে যান। তারা দেখেন আসমার শরীর নিস্তেজ। তাদের বলা হয় বসতঘরের সামনে আম গাছে আসমা গলায় ফাঁস দিয়েছিল। আসমার মরদেহ নিয়ে ছুটে যান স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে। সেখানে জানানো হয় আসমা মারা গেছেন। পরে তারা আসমার মরদেহ বাড়ি নিয়ে যান। এরপর, নানা গুঞ্জন ও অভিযোগ ওঠে। পুলিশ খবর পেয়ে দুপুরে আসমার মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেন ও ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠান। </p> <p>এদিকে, আসমার নিকটাত্মীয়দের দাবি, দেবর সাইমুন (২১) আসমাকে নির্যাতন করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে। আসমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন আছে বলে তারা দাবি করেছেন। এতে তারা বলেন, আসমার দেবর সাইমুন দ্বারা নির্যাতন ও হত্যার শিকার হয়েছে। </p> <p>থানায় অবস্থান গ্রহণকারীদের উদ্দেশে ফরিদগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) উপ-পরিদর্শক নাছির উদ্দিন বলেন, কোনো অস্বাভাবিক মৃত্যুই কাম্য নয়। আমরা স্বজনহারা মানুষদের বেদনা বুঝি। আসমা খুনের শিকার হয়েছে কি না- এ বিষয়ে কোনো প্রত্যক্ষদর্শী নেই। তাই, নিয়ম অনুযায়ী ইউডি মামলা হয়েছে। আইনের বিধান অনুযায়ী আসমার মরদেহ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্টে হত্যার আলামত পাওয়া গেলে অবশ্যই হত্যা মামলা হবে। </p>