<p>খুলনার খালিশপুরের জাহিদ হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৮ অক্টোবর) জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানা এ রায় দেন।</p> <p>জাহিদ খালিশপুর হাউজিং স্ট্রেট এলাকার বাসিন্দা সাব্বির হোসেনের মেঝ ছেলে। এ মামলায় আদালত সাতজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. আব্বাস আনসারী, মো. নশু ফরাজী, মো. রিয়াজ, মো. নাদিম ও মো. জব্বার।</p> <p>আদালত একই আসামিদের বিরুদ্ধে জাহিদের বড় ভাই জাবেদকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে তিন বছর ও ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে আলাদাভাবে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।</p> <p>আদালতের নথি থেকে জানা গেছে, জাবেদের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ ছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর জাবেদকে ওপর আক্রমণ করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় তিনি গুরুতর আহত হন। এ খবর পেয়ে জাবেদের মেঝ ভাই জাহিদ ও ছোটভাই মো. সুমনও ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় জাহিদকে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকে সন্ত্রাসীরা। জাহিদকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। </p> <p>ঘটনার পরের দিন ১২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪-৫ জনের নাম উল্লেখ করে খালিশপুর থানায় মামলা করেন সুমন। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মো. বাবলুর রহমান খান ১২ জন আসামির নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত বিভিন্ন কার্যদিবসে ২৬ জনের মধ্যে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করেন।</p> <p>মামলায় খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মো. ইব্রা আর আলাম আসিফ, মো. রানা হোসেন, সুলতান ওরফে গব্বার, পাতলা সাগর, মো. ওমর ফারুক ওরফে আরিফ, মো. মেহেদী হাসান ওরফে প্যাকেট মেহেদী ও মো. জাহিদুল ইসলাম জাহিদ। </p>