<p>আট কোটি রুপির জন্য নিজের স্বামীকে খুন করেছেন এক ভারতীয় নারী। ভারতের কর্ণাটকে প্রেমিককে সঙ্গে মিলে ব্যবসায়ী স্বামীকে খুন করেন তিনি। এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে সেই খুনের কিনারা করে পুলিশ। </p> <p>স্বামীর কাছে ৮ কোটি রুপির দাবি জানিয়েছিল স্ত্রী নিহারিকা। টাকা দিতে অস্বীকার করায় স্বামীকে খুন করে ৮০০ কিলোমিটার দূরে ফেলে আসেন নিহারিকা ও তার প্রেমিক। পুলিশ জানিয়েছে, গত ৮ অক্টোবর কর্নাটকের কোডাগু জেলার সুন্তিকোপ্পায় অর্ধদগ্ধ এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার হলেও তার পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। এর পরেই তদন্তে নামে পুলিশ।  </p> <p>আশপাশের এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। সেখানেই নজরে আসে তেলঙ্গানা রাজ্যের একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওই গাড়ির মালিক ৫৪ বছর বয়সী রমেশ নামক এক ব্যক্তির। স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সন্দেহ হয় পুলিশের। পুলিশের লাগাতার জেরার মুখে নীহারিকা স্বীকার করেন, প্রেমিক নিখিল ও তার এক বন্ধু অঙ্কুরের মদতে স্বামীকে খুন করেছেন।</p> <p>গত ১ অক্টোবর হায়দরাবাদের উপ্পলে রমেশকে গলা টিপে খুন করেন নিহারিকা ও তার প্রেমিক। এরপর তারা গাড়িতে মরদেহ নিয়ে কর্ণাটকের উদ্দেশে রওনা দেয়। উপ্পল থেকে ৮০০ কিমি দূরে কোদাগুতে একটি কফি জমিতে নিয়ে তারা মৃতদেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। মরদেহ কম্বলে মুড়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সব কাজ শেষ করার পর সকলে হায়দরাবাদ চলে আসে তারা। হায়দরাবাদে ফিরে এসে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করার পর জিডি করেছিলেন নিহারিকা।</p> <p>পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অল্প বয়েসেই প্রথম বিয়ে দেওয়া হয় নীহারিকাকে। সেখানে এক সন্তানও রয়েছে তার। ওই স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলে তিনি হরিয়ানায় চলে আসেন। সেখানে এক আর্থিক প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলে ছিলেন দীর্ঘদিন। জেল থেকে বের হওয়ার পর ব্যবসায়ী রমেশকে বিয়ে করেন নীহারিকা।</p> <p>রমেশকে বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নীহারিকার বিলাসবহুল জীবন। তবে স্বামীর বয়স অনেক বেশি হওয়ায় রমেশের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো ছিল না। এরপর এক পশু চিকিৎসক নিখিলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে নিহারিকা। রমেশের কাছে ৮ কোটি রুপি না পেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুনের ষড়যন্ত্র তৈরি করে নীহারিকা।</p> <p>সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন</p>