<p>ঘূর্ণিঝড় দানা সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানার শঙ্কা না থাকলেও জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা রয়েছে উপকূলে। এতে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছেন সাতক্ষীরার উপকূলের মানুষ। উপকূলের অন্তত নয়টি পয়েন্টে ৬ কিলোমিটার উপকূলরক্ষা বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সামান্য জলোচ্ছ্বাসে এসব পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দুই উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদ।</p> <p>আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, দানার সম্ভাব্য গতিপথ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে হলেও বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাতক্ষীরায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। থেমে থেমে মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকার নদীরগুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ থেকে ৪ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত উপকূলের বেড়িবাঁধের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বিশেষ সাক্ষাৎকার : ‘ঘূর্ণিঝড় দানায় বাংলাদেশে বড় ঝুঁকির আশঙ্কা নেই’" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729783208-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বিশেষ সাক্ষাৎকার : ‘ঘূর্ণিঝড় দানায় বাংলাদেশে বড় ঝুঁকির আশঙ্কা নেই’</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/24/1438768" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাতক্ষীরার দ্বীপ ইউনিয়ন শ্যামনগরের গাবুরা ইউনিয়নের চাদনিমুখা গ্রামের আল-হুদা মালী বলেন, ‘কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর পাড়ে আমাদের বসবাস। আইলার পর থেকে প্রতিবছরই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। আমাদের এলাকায় নতুন বাঁধ নির্মাণের কাজ চলছে। তবে সেটি শেষ হতে এখনো এক বছর সময় লাগবে।’</p> <p>গাবুরা ইউপির চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের ৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিতে রয়েছে। নদীতে জোয়ারের পানির চাপ বাড়লে সেটি টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। তারপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে।’</p> <p>পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাউদ্দিন জানান, জেলার ৬৮৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে বিভিন্ন পয়েন্টে ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তাৎক্ষণিকভাবে কাজ করার জন্য তিন হাজার জিও বস্তা, দুই হাজার প্লাস্টিক বস্তা, ১০ জিও রোল প্রস্তুত আছে। এগুলো দিয়ে এক কিলোমিটার বাঁধ সংস্কার করা যাবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দানা আঘাত হানতে পারে মধ্যরাতে, ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আভাস" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729765286-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দানা আঘাত হানতে পারে মধ্যরাতে, ১৪ জেলায় জলোচ্ছ্বাসের আভাস</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/24/1438683" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সাতক্ষীরায় ৮৮৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষ নিরাপদে আশ্রয় নিতে পারবেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ মোকাবেলার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে সরকারি ছুটি।</p> <p>এদিকে সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কখনো গুড়ি-গুড়ি আবার কখনো ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলায় ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ৩নম্বর সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে উপকূলীয় অঞ্চলে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সাতক্ষীরায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুক্র-শনিবারের ছুটি বাতিল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/23/1729693659-b42af1d84766b20ca97f4eda752b0e81.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সাতক্ষীরায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শুক্র-শনিবারের ছুটি বাতিল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/23/1438372" target="_blank"> </a></div> </div>