<p>চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী যুবলীগকর্মী মো. ফিরোজকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭ । বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) ফেনী জেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফিরোজ ছাত্র আন্দোলনে নিহত দোকান কর্মচারী শহিদ সায়মান মাহিন হত্যা মামলার আসামি। </p> <p>র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম কালের কণ্ঠকে বলেন, ফিরোজ চট্টগ্রাম মহানগরীর যুবলীগ কর্মী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানিয়েছেন, তিনি ও তার অন্যান্য সহযোগীরা চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শীর্ষ নেতাদের হুকুমে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করেন। তিনি নিজে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলিবর্ষণ করেছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন থানায় হত্যা, অস্ত্র, নাশকতা, মাদক ও ছিনতাই সংক্রান্ত ৫টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ছাত্রলীগের পদ পেয়ে শূন্য থেকে কোটিপতি আতিক" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/24/1729762623-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ছাত্রলীগের পদ পেয়ে শূন্য থেকে কোটিপতি আতিক</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/24/1438674" target="_blank"> </a></div> </div> <p>র‌্যাব আরো জানিয়েছে, গত ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও এলাকায় আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন দোকান কর্মচারী সায়মান মাহিন। এ সময় ফিরোজ ও তার সহযোগীরা শীর্ষ নেতাদের হুকুমে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করেন। এ সময় তারা হকিস্টিক, কিরিচ, দা ও লাঠি-সোটা দিয়ে ছাত্র জনতাকে পিটিয়ে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করেন। এসময় সায়মান ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ফিরোজ ও তার সহযোগী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা গুলি নিক্ষেপ করলে সায়মান গুরুতর আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় ৩০ আগস্ট ৪৪ জনের নাম উল্লেখ করে চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার এজহার নামীয় আসামি ফিরোজ। </p>