<p>বিদ্যালয়ের চারপাশে গড়ে উঠেছে বসতিসহ নানা স্থাপনা। সামান্য বৃষ্টি হলেই জমে যায় পানি। তবে পানি বের হওয়ার কোনো পথ নেই। বর্ষা মৌসুমে থাকে হাঁটুপানি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানি শুকিয়ে গেলেও মাঠজুড়ে থাকে স্যাঁতসেঁতে কাঁদা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের। এমনই চিত্র ঝিনাইদহ সদরের ধোপাবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের।</p> <p>স্থানীয়রা জানায়, এক দশকের অধিক সময় ধরে বিদ্যালয় মাঠে পানি জমে। পানিবদ্ধতার কারণে বন্ধ রয়েছে বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলি, শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, খেলাধুলাসহ নানা কার্যক্রম।</p> <p>জানা যায়, ১৯৯৪ সালে সদর উপজেলার ধোপাবিলা গ্রামে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করে স্থানীয়রা। বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করানো হয়। বর্তমানে মোট ২৫২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।</p> <p>বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয় ঘিরে গড়ে উঠেছে বসতি। আর চারপাশে রয়েছে মার্কেটসহ নানা স্থাপনা। বিদ্যালয়ের পুরো মাঠজুড়ে হাঁটুসমান পানি জমে আছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের চলাচলের জন্য ইট পেতে সরু পথ তৈরি করা হয়েছে। তারা পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। বিদ্যালয়ের টিনশেড ভবনের কয়েকটি কক্ষে পানি জমে আছে।</p> <p>দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আরা বলেন, ‘বৃষ্টি হলেই আমাদের স্কুল মাঠে হাঁটু সমান পানি জমে যায়। সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে কোনো রকমে ক্লাসে পৌঁছেছি। অনেক সময় পানিতে পড়ে গিয়ে আমাদের বই, জামা-কাপড় নষ্ট হয়ে যায়।’</p> <p>নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষাকালে আমাদের স্কুলের খেলার মাঠে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমা হয়। পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। অনেক সময় পানির মধ্য দিয়ে চলাচলের কারণে অনেক রোগ দেখা দেয়। এ জন্য আমাদের ক্লাসের অনেকেই ঠিকমতো স্কুলে আসতে চায় না।’</p> <p>বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান জানান, ‘প্রতিবছর বর্ষাকালে পানিবদ্ধতার কারণে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিকবার লিখিত আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’</p> <p>সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির আবেদনের প্রেক্ষিতে ওই মাঠে গত বছর মাটি ভরাট করা হয়েছিল। তারপরেও মাঠে পানি জমছে। এ বিষয়ে আমাদের ঊর্ধতন কতৃপক্ষের জানিয়ে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।’</p> <p>এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিয়া আক্তার চৌধুরী কালের কণ্ঠকে জানান, ‘ওই বিদ্যালয়ের জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। সরেজমিন বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে আমাদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়কে সমস্যা সমাধানের জন্য অবগত করা হবে।’</p>