<p>গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে অটোচালক নূর আলম (২২) নিহতের ঘটনায় ১৩৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। </p> <p>আজ মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) রাতে নিহতের বাবা কুড়িগ্রাম সদরের মোল্লাপাড়া মধ্য কুমরপুর এলাকার মো. আমির আলী (৪৪) বাদি হয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানায় মামলাটি দায়ের করেন। </p> <p>আমির আলী গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ১৮ নং ওয়ার্ডের তেলিপাড়া এলাকার ডাক্তার নাহিদের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।</p> <p>মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক স্বরাস্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক এমপি সিমিন হোসেন রিমি, মেহের আফরোজ চুমকি, রুমানা আলী টুসি, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি আজমতউল্ল্যা খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মতিউর রহমান মতিসহ আরো অনেকে। তা ছাড়া মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের আরো ১০০/১৩০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। </p> <p>বাদি মামলায় উল্লেখ করেছেন, শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ৬ জনের নির্দেশে বন্দুক, পিস্তল, লাঠি, লোহার রড, রামদা, চাপাতি দিয়ে বেআইনিভাবে গত ২০ জুলাই সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের তেলিপাড়াস্থ হানিমুন রেস্টুরেন্টের সামনে রাস্তায় আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করা হয়। এ সময় উপর্যুপরি কিল-ঘুষি মেরে ও কোপিয়ে খোরশেদ আলম রশিদসহ (১৯) প্রায় ২৫/৩০ জন আন্দোলনকারীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। </p> <p>এতে মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. আজমতউল্লা খান ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ উপস্থিত থেকে ও অজ্ঞাত আসামিরা ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকে। ওই গুলিতে বেলা সোয়া ১০টার দিকে নূর আলমের (২২) ডান চোখে গুলি লাগে এবং তিনি নিহত হন।</p>