<p>রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি ) প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেছেন, ক্যাম্পাসে চোর ধরার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেছি। যে চোরকে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে পুরস্কার দেওয়া হবে। আজ থেকে মসজিদে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। একজন আনসার থাকবে মসজিদের সামনে।</p> <p>জানা গেছে, সম্প্রতি বেরোবিতে ক্লাস চলাকালীন একাডেমিক ভবন, মসজিদ, ডরমেটরি, আবাসিক হলে বেড়েছে সাইকেলসহ মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা। শিক্ষার্থীদের দাবি নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।<br />   <br /> বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটি মোটরসাইকেলসহ ১২টিরও বেশি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর ) সকালে কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটে। তবে এখন পর্যন্ত চক্রটিকে শনাক্ত করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি চুরি হয়ে যাওয়ার পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগপত্র জমা দিলেও তেমন কোনো প্রতিকার দৃশ্যমান হচ্ছে না। সিসিটিভির ফুটেজ থাকলেও চোর থাকতেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশে এ চক্রের সদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। গত ৭ অক্টোবর দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে একাডেমিক বিল্ডিং ৪-এর সামনে থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। মোটরসাইকেলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিজানের।</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বেশে এ চক্রের সদস্যরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। এরপর সুযোগ বুঝে তালা ভেঙে সাইকেল, মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। শিক্ষার্থীদের বেশ নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাদের ধরতে ব্যর্থ হচ্ছে। তবে এরকম ঘটনার সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।</p> <p>জাহানুর রহমান অন্তর বলেন, সাইকেল-মোটরসাইকেল হারানোর মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে আমাদের এই ছোট ক্যাম্পাসে। বলতে পারি পুনরাবৃত্তি ঘটছে। আমি একজন ভুক্তভোগী হিসেবে প্রশাসনের কাছে দাবি রাখতে চাই যে, এই ঘটনাগুলোর যেন আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেইসঙ্গে যে বা যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের দ্রুত শনাক্ত করে বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন চুরি করার সাহস পর্যন্ত না পায়। আশা করি প্রশাসন কর্তৃক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হবে।</p> <p>মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘আমি আমার মোটরসাইকেল হারিয়েছি, কিন্তু এখনো তার কোনো সন্ধান পাইনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এর আগেও অনেক সাইকেল হারিয়েছে। ভুক্তভোগীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ করলেও তেমন কোনো ফল পাওয়া যায়নি। আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করুক, যাতে আমরা নিরাপদে থাকতে পারি এবং আমাদের সম্পত্তিও সুরক্ষিত থাকে।’</p>