<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) গত তিন দিনে ৩৩ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্য নিরসনে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> এই পদোন্নতি দেওয়া হলেও এতে পুরো কমিশনে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার পদোন্নতির জন্য কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর আরো ১০০টির বেশি আবেদন জমা পড়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেছেন, গত সরকারের সময়ে বেশ কিছু কর্মকর্তা সব শর্ত পূরণ করার পরও পদোন্নতি পাননি। তারা এবার পদোন্নতি পেয়েছেন। তবে এই সুযোগে বেশ কিছু সুবিধাবাদী কর্মকর্তাও ভুল বুঝিয়ে পদোন্নতি নিয়ে নিয়েছেন। অথচ তারা গত সরকারের সময়ও সুবিধাভোগী ছিলেন। এ ছাড়া পদোন্নতির ক্ষেত্রে নিয়মমাফিক যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করা প্রয়োজন, তা এবার মানা হয়নি। ফলে এ পদোন্নতি নিয়ে নানা ধরনের কথা বলার ও অসন্তোষ তৈরির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইউজিসির প্রশাসন শাখা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ইউজিসির এক অফিস আদেশে ২৮ জন কর্মকর্তার পদোন্নতির আদেশ জারি করা হয়। পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে ৯ জন অতিরিক্ত পরিচালক, দুজন উপপরিচালক, ৯ জন জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও আটজন সহকারী পরিচালক হয়েছেন। এ ছাড়া গত মঙ্গলবার অতিরিক্ত পরিচালক পদে তিনজন ও গতকাল বুধবার দুজন পরিচালক পদে পদোন্নতি পান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সূত্র জানায়, অতিরিক্ত পরিচালক পদটি তৃতীয় গ্রেডের। আর এই পদে পদোন্নতি পেতে হলে বেশ কিছু বিধি-বিধান মানতে হয়। অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদোন্নতি পাওয়া অন্তত তিনজন আছেন, যারা তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে চাকরি শুরু করেছেন। উপপরিচালক পদের একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। আর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক ও সহকারী পরিচালকদের সবাই তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগ দিয়েছেন। এমনকি পদোন্নতি পাওয়া একজন পরিচালক তৃতীয় শ্রেণির রিসিপশনিস্ট পদে চাকরি শুরু করেন। তার ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আপত্তি তুললেও তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে আরেকজন যিনি পরিচালক হয়েছেন, তিনি গত সরকারের সময় ইউজিসিতে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। সব ধরনের যোগ্যতা অর্জনের পরও দীর্ঘদিন ধরে তার পদোন্নতি আটকে রাখা হয়েছিল। তিনি এবার পদোন্নতি পাওয়ায় সবাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক এস এম এ ফায়েজ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কিছু কর্মকর্তা পদে পদে বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাদের জন্য আমরা কিছু একটা করার চেষ্টা করেছি। অনিয়মকে দূর করার জন্যই ২৪-এর আন্দোলন হয়েছে। আর আইন হচ্ছে সুশাসনের জন্য। তবে আমরা যতটা সম্ভব আইনের মধ্যে থেকেই কাজটা করার চেষ্টা করেছি। আমরা অর্গানোগ্রাম চেঞ্জ করে এই পদোন্নতি নিয়মের মধ্যে রেখেছি। তবে এই পদোন্নতিতে কেউ বকেয়া পাবে না। কোনো আর্থিক সংশ্লেষও লাগবে না। আমরা শুধু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p>