<p style="text-align:justify">রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড প্যারাসাইটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুল ইসলামকে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা এবং তার বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শেকৃবির শিক্ষার্থীরা। </p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ সময় তারা ‘ষড়যন্ত্রকারীর অভিযোগ মানি না মানব না, মিথ্যা অভিযোগ মানি না মানব না, ষড়যন্ত্রকারীর কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়। </p> <p style="text-align:justify">জানা যায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের আন্দোলনে শেরেবাংলানগরের ফুলমার্কেট অঞ্চলে হাফিজুর রহমান সুমন (৪২) সন্ত্রাসীদের হামলায় জখম হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ১ নম্বর এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ২ নম্বর আসামি করে ১০০ জনের অধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করে নিহত হাফিজুরের স্ত্রী বিথি আক্তার। ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকা শেকৃবি শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক কামরুল হাসানের নাম তালিকার ৭১ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। </p> <p style="text-align:justify">যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভ মিছিল করেন। উল্লেখ্য, এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বাদী নিজেও অবগত নয় কিভাবে হত্যা মামলার তালিকায় শেকৃবি শিক্ষকের নাম যুক্ত হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান বলেন, ‘যে হত্যা মামলায় আমাকে জড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত না। এমনকি সেই লোককে আমি চিনতামও না। আমি মামলার বাদীপক্ষের সঙ্গেও দেখা করেছি, তারাও জানেন না আমার নাম কিভাবে এলো।’ </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আমার নাম দিয়েছে। প্রক্টর স্যারকে ইতোমধ্যে বিষয়টি জানিয়েছি। ক্যাম্পাসের কে বা কারা আমার নাম দিয়েছে, সেটি খুঁজে বের করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি।’</p> <p style="text-align:justify">শিক্ষার্থীরা জানান, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে সরকারের পতন ঘটেছে। এ আন্দোলনে যখন ছাত্রদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছিল, তখন শুরুর দিকে শেকৃবির খুব কমসংখ্যক শিক্ষক এগিয়ে আসেন। সেই সময় শহীদ আবু সাঈদের পোস্ট শেয়ার দিয়ে শেকৃবির শিক্ষকদের মধ্যে প্রথম দিকে যিনি প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন, তিনি হচ্ছেন কামরুল স্যার। শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে যেকোনো অন্যায় অবিচার হলে কামরুল স্যার সবার আগে ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান। আমরা এই মিথ্যা অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং কোনো অপশক্তি যদি আবারও স্যারের ক্ষতি করার চেষ্টা করে, তাহলে তাদের কালো হাত ভেঙে দিতে আমরা প্রস্তুত আছি।’</p> <p style="text-align:justify">শেরেবাংলানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল বলেন, ‘আসলে এই মামলাটি এখনো এজাহারভুক্ত হয়নি। যদিও বাদী অভিযোগ নিয়ে এসেছিল, তবে এখন আরেকটু সময় নিচ্ছে। যেহেতু এজাহারভুক্ত নয়, তাই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। তবে আমরা বিষয়গুলো নিয়ে অবগত এবং অভিযোগ এলে পুনর্বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’</p>