<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ২৬ জুলাই আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তামিম সিকদার নামের একজন শিক্ষার্থী। কিন্তু সেই লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে তামিম সিকদারের পরিবার জানতে পারে তামিম আর বেঁচে নেই। আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ সদস্যদের যোগসাজশে তাঁর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁর বাবা মো. ফারুক হোসেন। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ফারুক হোসেন। এ সময় তিনি প্রধান উপদেষ্টাসহ সব আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও বিচার বিভাগের কাছে ছেলের হত্যাকারী, হত্যার নির্দেশদাতা এবং হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করা অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এ দেশের আপামর জনসাধারণও অংশগ্রহণ করে। একই রকমভাবে আমার ছেলে তামিম সিকদার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। স্বৈরাচারী হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে যেকোনো মূল্যে প্রতিহত করার জন্য তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দেন। খুনি হাসিনার হুকুমে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিছু পুলিশ সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা ছাত্র-জনতাকে দমাতে সারা দেশে গুম-খুনের রাজত্ব কায়েম করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নির্বিচারে তারা প্রায় দুই হাজারের বেশি ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে। পাশাপাশি প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-জনতাকে আহত, অন্ধত্ব ও পঙ্গুত্ব বরণ করায়। শুধু তা-ই নয়, বিভিন্ন জায়গায় ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশের ওপর নৃত্য করার দৃশ্যও দেশবাসী দেখেছে। খুনি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী এবং কিছু পুলিশ সদস্য ছাত্র-জনতাকে হত্যা করেই খান্ত হয়নি, ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের লাশ বিভিন্নভাবে গুম করেছে এবং পুড়িয়ে ফেলেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পুড়িয়ে ফেলা মরদেহগুলোর মধ্যে তামিম সিকদারের মরদেহ ছিল জানিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে ফারুক হোসেন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার ছেলে তামিম সিকদারকে গত ২৬ জুলাই খুনি হাসিনার সন্ত্রাসী বাহিনী এবং কিছু পুলিশ সদস্য প্রকাশ্যে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে গুলি করে হত্যা করে এবং তার মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য এলোপাতাড়ি আঘাত করে। আমার ছেলে তামিম সিকদার মারা গেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অন্য সহযোগীরা তার মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীরা এবং কিছু পুলিশ সদস্য আমার ছেলের লাশ পুলিশের গাড়িতে করে নিয়ে যায়। এরপর আমার ছেলের লাশ আর ফেরত দেয়নি। পরবর্তী সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে জেনেছি, আমার ছেলে তামিম সিকদারের লাশটি আওয়ামী সন্ত্রাসী এবং কিছু পুলিশ সদস্য পরস্পর যোগসাজশে পুড়িয়ে নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>