<p style="text-align:justify">দেশে আমদানি দায় ও বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ কমে এসেছে। দুই বছর আগের তুলনায় বেড়েছে ডলার প্রবাহও। তবে দেশের ব্যাংকগুলো বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ে স্বস্তিতে নেই। ঋণসীমা কমিয়েছে বিদেশি ব্যাংকগুলো এতে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিড়ম্বনা রয়েই গেছে।</p> <p style="text-align:justify">জানা গেছে, 'কান্ট্রি রেটিং' খারাপ হওয়া ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত না হওয়ায় দেশের ব্যাংকগুলোকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ব্যাংকগুলোর গ্যারান্টির প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের এলসির গ্যারান্টির বড় অংশই দেয় মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাংকগুলো। ভারত ও ইউরোপ-আমেরিকার বৃহৎ ব্যাংকগুলোও কিছু এলসির গ্যারান্টর হয়। এজন্য বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য একটি ঋণসীমা অনুমোদিত থাকে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে এফবিসিসিআই" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728878547-c25f388057878ec1052c395881bf146c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে এফবিসিসিআই</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/14/1434963" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">একটি বেসরকারি ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়ায় এলসি খুলতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। এক-দেড় বছর আগের তুলনায় বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতে ডলারের সরবরাহ বেশ ভালো। কিন্তু দেশের কিছু ব্যাংকের নাজুক পরিস্থিতির কারণে বিদেশিদের কাছে খারাপ বার্তা যাচ্ছে। এমনিতেই বাংলাদেশের কান্ট্রি রেটিং খারাপ। তার সঙ্গে ব্যাংক খাতের অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দিয়েছে। অর্থনৈতিক স্থবিরতার কারণে এমনিতেই আমদানির চাহিদা কম। যে চাহিদা আসছে, বিদেশি ব্যাংকগুলো ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়ার কারণে সে এলসিও খোলা যাচ্ছে না। </p> <p style="text-align:justify">ডলার সংকটের কারণে দুই বছর ধরেই বিদেশি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর জন্য তাদের ঋণসীমা কমিয়ে এনেছে। সম্প্রতি পরিস্থিতি আরো বেশি নাজুক হয়েছে। ১১টি বেসরকারি ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া, তারল্য সংকট ও নানা নেতিবাচক প্রচারণার কারণে বিদেশি অনেক ব্যাংকই বাংলাদেশের কিছু ব্যাংকের এলসি নিচ্ছে না। যে ব্যাংকগুলোর আর্থিক সক্ষমতা বেশ ভালো তাদের জন্যও ঋণসীমা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলসি খোলার জন্য দেশের ব্যাংকগুলোকে বাড়তি কমিশন বা ফিও গুনতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728875116-032b2cc936860b03048302d991c3498f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>বাসে গ্যাস নেওয়ার সময় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৩</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/14/1434959" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">'থার্ড পার্টি গ্যারান্টি' হিসেবে আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক মাশরেক ব্যাংকের সঙ্গে। মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী এ ব্যাংকটি বাংলাদেশের বেশির ভাগ ব্যাংকেরই এলসির গ্যারান্টর হয়। রাজনীতির পাশাপাশি ব্যাংক খাতের অস্থিরতার কারণে ব্যাংকটি দেশের অনেক ব্যাংকেরই ঋণসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। </p> <p style="text-align:justify">ভারত, সিংগাপুর, সৌদি আরব, আমিরাতসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কিছু ব্যাংক ঋণসীমা কমিয়ে দিয়েছে বলে ব্যাংক নির্বাহীরা জানিয়েছেন। ইউরোপের ব্যাংকগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি ব্যবসা রয়েছে জার্মানির কমার্স ব্যাংকের। ব্যাংকও দেশের কিছু ব্যাংকের এলসি নিচ্ছে না। </p> <p style="text-align:justify">দেশের ডলার প্রবাহ ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতির প্রকৃত চিত্র পাওয়া যায় 'ব্যালান্স অব পেমেন্ট' শীর্ষক প্রতিবেদনে, যা বিওপি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি করা বিওপির সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশের আমদানি ব্যয় ছিল ১ হাজার ৩ কোটি ডলার। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে এ ব্যয় ৯৯১ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। এক্ষেত্রে আমদানি ব্যয় কমেছে ১ দশমিক ২ শতাংশ।</p> <p style="text-align:justify">আমদানি কমলেও আগের তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয়ে ২ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৬৯৮ কোটি ডলার, চলতি অর্থবছরে তা বেড়ে ৭১৬ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। আর চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৫ দশমিক ৮ শতাংশ। </p> <p style="text-align:justify">ব্যয়ের তুলনায় ডলার প্রবাহ বাড়ায় সরকারের চলতি হিসাব উদ্বৃত্তের ধারায় ফিরেছে। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে চলতি হিসাবে ৬১ কোটি ডলার ঘাটতি থাকলেও চলতি অর্থবছরের একই সময়ে ১১ কোটি ডলার উদ্বৃত্ত রয়েছে। চলতি অর্থবছরে দেশের আর্থিক হিসাবের (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) ঘাটতিও কমেছে। সব মিলিয়ে আগস্ট শেষে বিওপির ঘাটতি ছিল ১৩৯ কোটি ডলার। গত অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বিওপিতে ১৬৯ কোটি ডলার ঘাটতি ছিল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/14/1728879638-032b2cc936860b03048302d991c3498f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতিকে অব্যাহতি</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Politics/2024/10/14/1434968" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে আমদানির এলসি খোলা ১২ দশমিক ৯৬ শতাংশ কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪৩ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি। আর আগস্ট পর্যন্ত প্রথম দুই মাসে আমদানির এলসি নিষ্পত্তি কমেছে ১৩ শতাংশেরও বেশি।</p>