<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার নানাভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। ডিম, আলু, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আমদানি উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিছু পণ্যে শুল্ক কমানো হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা নিয়মিত বাজার তদারকি করছে, কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। ডিমের দাম আরো বেড়েছে। বাজারে ডিমের হালি ৬০ টাকা এবং ডজন ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লায় দাম আরো বেশি। বেড়েছে মুরগির দাম। প্রতিটি সবজির দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেছে। কাঁচা মরিচের কেজি ৪০০ টাকা ছাড়িয়েছে। না বাড়লেও কমছে না আলু, পেঁয়াজের দাম। বিদেশি ফল খাওয়ার কথা এখন বেশির ভাগ মানুষের চিন্তায়ও আসে না। দেশি বিভিন্ন ফলের দামও অনেক বেশি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, গত রবিবারও ঢাকার নিউমার্কেট ও গুলশান কাঁচাবাজারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি টিম নজরদারি করে। এ সময় বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে সাতটি দোকানকে জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে গত রবিবার ভারত থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আরো দুই লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ পিস মুরগির ডিম আমদানি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতিটি ডিমে খরচ পড়েছে প্রায় সাত টাকা। বেনাপোল কাস্টমস চেকপোস্টের কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অথচ ঢাকার বাজারে প্রতিটি মুরগির ডিমের দাম ১৫ টাকা অর্থাৎ দ্বিগুণেরও বেশি। কালের কণ্ঠে প্রকাশিত ভিন্ন এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে রংপুরের বাজারচিত্র। সেখানে কৃষকের কাছ থেকে পণ্য কেনার পরপরই পাইকারি দোকানে পণ্যপ্রতি ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, সেখানে পাইকাররা প্রতি কেজি বেগুন কেনেন ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। সেই বেগুন ঢাকায় ভোক্তাদের কিনতে হয় প্রতি কেজি ১০০ টাকার বেশি দামে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিমের বাজারের পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। ডিম উৎপাদনকারী প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে দেশে ডিমের চাহিদা আছে দৈনিক চার কোটি পিস। উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় তিন কোটি ৭০ থেকে ৭৫ লাখ পিস। বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন অভিযোগ করেছে, চাহিদা ও সরবরাহের এই ঘাটতির সুযোগ নেয় কিছু করপোরেট গ্রুপ ও তেজগাঁওয়ের ডিম ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কারণেই বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। সংগঠনটির দাবি, গত ২০ দিনেই ডিম ও মুরগির বাচ্চার দাম বাড়িয়ে এই সিন্ডিকেট প্রায় ২৮০ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামের কারণে এরই মধ্যে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। তাদের স্বস্তি দিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।</span></span></span></span></p> <p> </p>