<p style="text-align:justify">সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানবপাচারের মামলায় সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছেন পুলিশ। আজ সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান এ রিমান্ড আবেদন করেন। </p> <p style="text-align:justify">ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে তার উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729501122-6f477a01e01431d702a13d8d98996d38.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোন ভূমিকা নেই: হাসনাত আব্দুল্লাহ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/21/1437527" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে ৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন আফিয়া ওভারসিজের প্রোপাইটর আলতাব খান। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">মামলায় ইমরান আহমেদ ছাড়াও সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সাবেক সংসদ সদস্য ও এম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লে. জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (অব.), আহমেদ ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর ও সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ এবং ক্যাথারসিস ইন্টারন্যাশনালের প্রোপাইটর মো. রুহুল আমীন স্বপনসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়।</p> <p style="text-align:justify">মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জনশক্তি রপ্তানিতে দুই হাজারের বেশি রিক্রুটিং এজেন্ট থাকলেও মামলার আসামিরা মাফিয়া সিন্ডিকেট চক্র ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য তৈরি করে সংবিধানের মূলনীতি পরিপন্থি জঘন্য অপরাধ করেছে। আসামি সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, সরকারি চাকুরিরত অবস্থায় নিজ মন্ত্রনালয়ের অধীনে ছেলেকে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্য হিসেবে ব্যবহার করেছেন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/21/1729500820-c9fd6fdf6a48d3cd44e325e95e7cf0b5.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>আশুলিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/10/21/1437524" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify"><br /> আর সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার পরিবারের সদস্য অর্থাৎ তাহার স্ত্রীর বড় ভাইয়ের ছেলেকে বিধিবর্হিভূতভাবে একটি প্রবাসী নামক অ্যাপস চালু করার অনুমোদন দিয়ে চক্রকে সহযোগিতা করেছে। পরস্পর যোগসাজশে তার সরলতার সুযোগে ভয়ভীতি ও বলপ্রয়োগ করে মানবপাচারের উদ্দেশ্যে তার কাছ থেকে জোর করে অতিরিক্ত চাঁদা হিসেবে প্রত্যেকের দেড় লাখ টাকা হারে ৮৪১ জনের ১২ কোটি ৫৬ লাখ এক হাজার টাকা আদায় করেছে। </p> <p style="text-align:justify">এছাড়া তারা সঙ্ঘবদ্ধভাবে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রায় ২৪ হাজার কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে।</p>